কল্যাণী থানা, নদীয়া জেলা: দুপুর দুটো নাগাদ উত্তর চাঁদামারী বেলতলা এলাকায় শুরু হয় চরম উত্তেজনা। স্থানীয় বাসিন্দারা ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের কর্মীদের ঘেরাও করেন, যারা সেই সময় স্মার্ট মিটার বসানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি দ্রুত উত্তেজনার রূপ নেয়, এবং প্রতিবাদে স্থানীয়দের রোষ উথলে ওঠে। বাসিন্দারা দাবি করছেন, স্মার্ট মিটার বসানোর ফলে বিদ্যুৎ বিল আগের তুলনায় দ্বিগুণ এসেছে, যা তাঁদের জন্য বড়সড় আর্থিক বোঝা তৈরি করেছে।বাসিন্দাদের ক্ষোভ, মিটারের নতুন প্রযুক্তিতে আস্থা হারানো
ঘটনার কেন্দ্রে কল্যাণী থানা :ঘটনার স্থান নদিয়ার কল্যাণী থানার উত্তর চাঁদামারী বেলতলা। বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের তিনটি যানবাহন শ্রমিকদের উদ্ধারে আসে। কিন্তু স্থানীয়রা সেগুলোও ঘেরাও করে রাখে। এতে ঘটনাস্থলে এক চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। কর্মীরা সাপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করলেও জনতার রোষের মুখে তাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়।কর্মীরা ঘেরাও, সাপ্লাই বাধা, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
পুলিশ হস্তক্ষেপ, তবু উত্তেজনা কমেনি :পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তবে স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা ততক্ষণে কাজে আসে না। স্থানীয়রা দৃঢ়ভাবে দাবি করেন যে, ডিজিটাল বা স্মার্ট মিটার লাগানোর কারণে তাদের বাড়ির বিদ্যুৎ সময়মতো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ফলে জনসাধারণের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ সাপ্লাই এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে।পুলিশের হস্তক্ষেপ ব্যর্থ, উত্তেজনা অব্যাহত
বিলের দ্বিগুণ বৃদ্ধি, জনমানসে ক্ষোভ :স্থানের মানুষ অভিযোগ করেছেন, আগের মিটারের তুলনায় নতুন স্মার্ট মিটার ব্যবহারের পর বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি এসেছে। কেউ কেউ বলছেন, পূর্বে ব্যবহার করা মিটার যথেষ্ট ছিল। বাড়িতে বিনা অনুমতিতে স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে। এতে আর্থিক বোঝা যেমন বাড়ছে, তেমনি স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক এবং বিরূপ মনোভাবও তৈরি হচ্ছে।স্মার্ট মিটার দ্বিগুণ বিল, মানুষের ক্ষোভের মূল কারণ
গ্রাহকদের দাবি: আগের মিটার ফিরিয়ে দিন :স্থানীয়রা প্রার্থনা করছেন, আগের মিটারই পুনর্বহাল করা হোক। এদের মধ্যে বিশেষভাবে কিছু গৃহবধূরাও দাবি জানাচ্ছেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ দিয়ে এই বিল বাড়ানো হচ্ছে। তাদের মতে, নতুন মিটার নিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, এবং আগের মিটারই স্থায়ী সমাধান হতে পারে।গৃহবধূদের প্রতিক্রিয়া, আগের মিটারের পক্ষে জনমত
দ্বিগুণ বিলের প্রভাব, সমাজে উত্তেজনা :স্মার্ট মিটার বসানোর প্রক্রিয়ায় দ্বিগুণ বিলের ঘটনা সাধারণ মানুষকে উদ্বিগ্ন করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, এর ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনে অসুবিধা হচ্ছে। অনেকেই বলেন, এই প্রক্রিয়ার কারণে গ্রাম বা শহরের জীবনযাত্রায় তিক্ততা তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিলের এই আকস্মিক বৃদ্ধি স্থানীয়দের মধ্যে বিতর্ক এবং দুশ্চিন্তা উত্থাপন করেছে।দ্বিগুণ বিল সামাজিক উত্তেজনা, মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব
মিটার বসানোর সময়ে সাপ্লাই কর্মীদের প্রতিকূল অবস্থা
ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের কর্মীরা কাজ করতে এসে স্থানীয়দের বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। তারা হুমকির মধ্যে পড়ছেন। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, কর্মীরা কোনো ধরণের কাজ করতে পারছেন না। তিনটি যানবাহন এসে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করলেও এলাকাবাসীর চাপের কারণে তারা আটকে রয়েছেন।কর্মীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি, নিরাপত্তা উদ্বেগ
পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার চেষ্টা :কল্যাণী থানার পুলিশ উপস্থিত থাকলেও, জনতার রোষ এখনও কমেনি। স্থানীয়রা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তাঁরা নতুন মিটার স্থাপন চাইছেন না। পুলিশ তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও, উত্তেজনা ধরে থাকে। ঘটনাটি একটি সামাজিক ও প্রযুক্তিগত দ্বন্দ্বে পরিণত হয়েছে।পুলিশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ, জনমত শক্তিশালী
স্মার্ট মিটারের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা :স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, স্মার্ট মিটার স্থাপন কার্যকর হলেও, এতে তাদের আর্থিক এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং বিলের অনিয়মিত বৃদ্ধি অনেকের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তারা আগের মিটারই কার্যকর ও নিরাপদ মনে করছেন।স্মার্ট মিটার: সুবিধা বনাম সমস্যা, ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত
নদিয়ায় উত্তেজনা, বিদ্যুতের বিতর্ক চরমে :উত্তর চাঁদামারী বেলতলা এলাকায় স্মার্ট মিটার বসানোর ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়েছে। বিদ্যুতের বিল দ্বিগুণ হওয়া, পুলিশি হস্তক্ষেপের পরও উত্তেজনা কমেনি। এই প্রক্রিয়া শুধু প্রযুক্তিগত নয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবও ফেলেছে। পরিস্থিতি সামলাতে স্থানীয় প্রশাসনের আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।