মুরাদাবাদে তিনতলা রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ আগুন: ১ জনের মৃত্যু, ১০ জন আহত, আতশবাজি থেকে সূত্রপাত

মুরাদাবাদে তিনতলা রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ আগুন: ১ জনের মৃত্যু, ১০ জন আহত, আতশবাজি থেকে সূত্রপাত
সর্বশেষ আপডেট: 3 ঘণ্টা আগে

মুরাদাবাদের কাটঘর থানা এলাকায় তিনতলা রেস্তোরাঁয় আগুন লেগে রেস্তোরাঁ মালিকের মায়ের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ জন ঝলসে গেছেন। আগুনের সূত্রপাত পাশের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আতশবাজি থেকে হয়েছিল এবং ফায়ার ব্রিগেড উদ্ধারকার্য চালায়।

মুরাদাবাদ: উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদের কাটঘর থানা এলাকায় রবিবার রাতে একটি তিনতলা রেস্তোরাঁয় হঠাৎ আগুন লেগে একজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ১০ জন ঝলসে গেছেন। আগুন ও ধোঁয়ার মধ্যে আটকে পড়া লোকজনকে পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড এবং স্থানীয়দের সহায়তায় নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে যে আগুন লাগার সময় রেস্তোরাঁয় ৫টি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল, যা ফেটে যাওয়ার পর আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় রেস্তোরাঁ মালিক প্রদীপ শ্রীবাস্তবের মা মায়া শ্রীবাস্তব (৫৬) মারা গেছেন। আহতদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আগুনের কবলে রেস্তোরাঁর সব তলা

রেস্তোরাঁর তিনটি তলার মধ্যে দুটি তলা 'পরী' রেস্তোরাঁর জন্য ব্যবহৃত হত, যেখানে তৃতীয় তলায় মালিকের পরিবার বাস করত। আগুনের সময় রেস্তোরাঁর কর্মীরা রান্না করছিলেন এবং পরিবার উপরের তলায় উপস্থিত ছিল। হঠাৎ পাশের একটি বিয়েতে আতশবাজির একটি বাজি রেস্তোরাঁয় এসে পড়ে এবং আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় লোকজন ও কর্মীরা জানিয়েছেন যে সিঁড়িগুলোতে ধোঁয়া ভরে যাওয়ায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাঁরা জানালা ভেঙে এবং সিঁড়ির সাহায্যে লোকজনকে বাইরে বের করে আনেন। কিছু লোককে বাঁচার জন্য বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিতে হয়েছিল।

দমকল ও পুলিশ দুই ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে

খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসপি সিটি কুমার রণবিজয় সিং জানিয়েছেন যে, সমস্ত আহতদের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।

পুলিশ ও দমকলকর্মীরা মিলে রেস্তোরাঁ থেকে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠায়। আগুনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তদন্ত এখনও চলছে।

আতশবাজিই আগুনের কারণ

পুলিশের মতে, রেস্তোরাঁর পাশেই একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। রাত প্রায় ১০টায় বিয়ের সময় ছোড়া আতশবাজি থেকে একটি বাজি রেস্তোরাঁয় এসে পড়ে এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রেস্তোরাঁর মালিক প্রদীপ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন যে, তিনি দুটি তলায় 'পরী' নামে রেস্তোরাঁ চালাচ্ছিলেন, আর তৃতীয় তলায় তাঁর পরিবার থাকত।

মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন রেস্তোরাঁটিকে গ্রাস করে ফেলে এবং ভেতরে রাখা ৫টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হতে শুরু করে, যার ফলে আগুন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কর্মচারী এবং পরিবারের সদস্যরা ভয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করেন।

Leave a comment