সোনীপথে ইনস্টাগ্রাম আইডি নিয়ে বিবাদ, ছাত্র মনদীপকে কুপিয়ে খুন; ৪ জন গ্রেপ্তার

সোনীপথে ইনস্টাগ্রাম আইডি নিয়ে বিবাদ, ছাত্র মনদীপকে কুপিয়ে খুন; ৪ জন গ্রেপ্তার

সোনীপথের গ্যালাক্সি কোচিং সেন্টারে ছাত্রদের বিবাদের জেরে ১৮ বছর বয়সী ছাত্র মনদীপকে হত্যা করা হয়েছে। এক ছাত্রীর ইনস্টাগ্রাম আইডি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল। পুলিশ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সিআইএর হাতে তুলে দিয়েছে।

সোনীপথ: ১৮ বছর বয়সী ছাত্র মনদীপকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ চার ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, এক ছাত্রীর ইনস্টাগ্রাম আইডি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল, যার পর ছাত্রদের দুটি দল মুখোমুখি হয়। ঘটনার পর মামলার তদন্ত এখন সিআইএর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সোনীপথে ছাত্র খুন

সোনীপথের শাহজাদপুর গ্রামে তার বোনের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছিল ১৮ বছর বয়সী মনদীপ। শনিবার দুপুরে সে সন্ত শিরোমণি নামদেব পার্কের সামনে সারং রোড দিয়ে যাচ্ছিল। এই সময়ে ছাত্রীদের ইনস্টাগ্রাম আইডি নিয়ে দুটি দলের মধ্যে বিবাদ হয়। বিবাদের পর মনদীপকে একা পেয়ে বিরোধী দলটি তার উপর হামলা চালায়।

হামলায় অভিযুক্তরা লাঠি ও ছুরি ব্যবহার করে। গুরুতর আহত মনদীপকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হত্যার ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাস্থল এবং আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে জানা গেছে যে, ছাত্ররা একই কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত দুটি দলের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তদের পরিচয় 

পুলিশ চার অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রদের মধ্যে সলিমরপুর মাজরা নিবাসী মনু ওরফে কেরা ও দেব, তিহার খুর্দ নিবাসী সাগর ওরফে গোগী এবং সিসানা নিবাসী অঙ্কুশ অন্তর্ভুক্ত। সকল অভিযুক্ত এবং মৃত ছাত্রটি সুভাষ চকে অবস্থিত গ্যালাক্সি কোচিং সেন্টারের ছাত্র।

গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ চারটি দল গঠন করেছিল এবং অভিযুক্তদের এখন আদালতে পেশ করা হবে। অন্যান্য অভিযুক্তদের সন্ধান এখনও চলছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত এখন সিআইএর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে যাতে প্রতিটি দিক নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা যায়।

সোশ্যাল মিডিয়া বিবাদ থেকে শুরু হওয়া ঝগড়া

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে যে, এক ছাত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের আইডি নিয়েই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল। আইডি দেওয়া নিয়ে বিতর্কে মনদীপও জড়িয়ে পড়ে এবং দলগুলি যখন মুখোমুখি হয়, তখন বিবাদ বেড়ে যায়।

বিবাদের সময় অভিযুক্তরা ছুরি ও লাঠি ব্যবহার করে মনদীপকে গুরুতর আহত করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা অবিলম্বে পুলিশকে খবর দেয়, কিন্তু ছাত্রটিকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পরেও তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি এলাকায় শোক ও ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

 পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু 

সোনীপথ পুলিশ মৃতের পরিবারের কাছ থেকে বয়ান রেকর্ড করেছে এবং ঘটনাস্থল পরীক্ষা করার পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনও মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে সমস্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে যে, বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য আলাদা আলাদা দল গঠন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করছেন যে, হত্যাকারীদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করা হবে এবং ছাত্রদের মধ্যে সহিংসতা রোধ করতে কোচিং সেন্টার ও আশেপাশের এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হবে।

Leave a comment