বিহারের সোনপুর রেলওয়ে স্টেশনে জোগবানি-দানাপুর ইন্টারসিটিতে ওঠার সময় রেলওয়ে অফিসার বিজয় কুমার সিং পিছলে ট্রেনের নিচে পড়ে যান এবং তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার কারণে অনেক নিয়মিত ও বিশেষ ট্রেন কয়েক ঘণ্টা দেরিতে চলে। মৃত ব্যক্তি ডেপুটি চিফ কন্ট্রোলার ছিলেন এবং পাটনায় ফিরছিলেন।
বিহার: বিহারের সোনপুর রেলওয়ে স্টেশনে শুক্রবার সন্ধ্যায় জোগবানি-দানাপুর ইন্টারসিটি ট্রেনে ওঠার সময় ডেপুটি চিফ কন্ট্রোলার বিজয় কুমার সিং পিছলে নিচে পড়ে যান এবং ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঊর্ধ্বতন রেলওয়ে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এই দুর্ঘটনার কারণে মুজফ্ফরপুর সহ অন্যান্য স্টেশনে অনেক নিয়মিত ও বিশেষ ট্রেন কয়েক ঘণ্টা দেরিতে চলে।
দুর্ঘটনার বিবরণ
সূত্র অনুযায়ী, মৃত বিজয় কুমার সিং সোনপুর রেল ডিভিশনাল অফিসের অপারেশন বিভাগের কন্ট্রোল অফিসে কর্মরত ছিলেন। তিনি ডিউটি শেষ করে পাটনায় ফিরছিলেন এবং সেই সময় এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই রেলওয়ে প্রশাসন এবং স্থানীয় জনগণ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কর্মকর্তারা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। মৃত ব্যক্তির বয়স ৪৩ বছর ছিল এবং তিনি পাটনার আনিসাবাদে অবস্থিত আনন্দ দ্বারিকা হেরিটেজ অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন।
ঘটনাস্থলে ভিড় এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারকি
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই স্টেশনে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায়। ঘটনাস্থলে ডিআরএম, সিনিয়র ডিওএম এবং ডিওএম সহ অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পৌঁছান। রেলওয়ে কর্মকর্তারা মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ঘটনার খবর জানান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান যে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পরিবারে শোকের ছায়া
বিজয় কুমার সিং-এর আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনেই তাঁর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের সদস্যরা দুঃখ ও আঘাতে স্তম্ভিত। তাঁরা জানান যে বিজয় কুমার সিং সর্বদা তাঁর কর্তব্যের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন। পরিবার ও প্রতিবেশীদের মতে, তাঁর চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি।
রেল পরিষেবাগুলিতে প্রভাব
এই দুর্ঘটনার কারণে রেল পরিষেবাগুলিতেও বড় প্রভাব পড়ে। সোনপুর স্টেশনে ট্রেনগুলি কয়েক ঘণ্টা দেরিতে চলে। ঘটনার দিন অনেক স্পেশাল এবং নিয়মিত ট্রেন দেরিতে মুজফ্ফরপুরে পৌঁছায়। এর মধ্যে চার্লাপল্লি-মুজফ্ফরপুর স্পেশাল এবং লোকমান্য তিলক টার্মিনাল-রাক্সৌল স্পেশাল ট্রেনগুলি অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও, নিউ জলপাইগুড়ি-অমৃতসর সুপারফাস্ট স্পেশাল দুপুর ৩.০৫-এর পরিবর্তে সন্ধ্যা ৬.০৩-এ মুজফ্ফরপুরে পৌঁছায়। জয়নগর-অমৃতসর স্পেশাল সকাল ৮.২০-এর পরিবর্তে দুপুর ২.০৫-এ পৌঁছায়। দরভাঙ্গা ফেস্টিভ্যাল স্পেশাল ৭.৪৬ ঘণ্টা এবং বৈশালী এক্সপ্রেস ১.৪৯ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছায়। লখনউ-কলকাতা স্পেশাল ট্রেনও ৬.১২ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছায়।
দুর্ঘটনার পরবর্তী পদক্ষেপ
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান যে দুর্ঘটনার পর স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তির পদ এবং জ্যেষ্ঠতা বিবেচনা করে রেলওয়ে প্রশাসন বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি দল গঠন করেছে। দলটি দুর্ঘটনার কারণগুলি তদন্ত করবে এবং নির্ধারণ করবে যে নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়েছিল কিনা।