সুপ্রীম কোর্ট বিহারের ভোটার তালিকা আপত্তির সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়াল

সুপ্রীম কোর্ট বিহারের ভোটার তালিকা আপত্তির সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়াল

সুপ্রীম কোর্ট বিহারে SIR সম্পর্কিত ভোটার তালিকার উপর আপত্তি জানানোর সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করেছে। আদালত বলেছে যে নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আস্থার অভাব দুর্ভাগ্যজনক।

বিহার SIR: সোমবার সুপ্রীম কোর্ট বিহারে SIR (Special Intensive Revision) সম্পর্কিত মামলার শুনানির সময় নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং ভোটার তালিকার খসড়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আদালত বলেছে যে বিহারে নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আস্থার অভাব দুর্ভাগ্যজনক। সুপ্রীম কোর্ট আরও স্পষ্ট করেছে যে ভোটার তালিকার খসড়ার উপর আপত্তি জানানোর সময়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন যাতে সমস্ত পক্ষ তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারে।

দুই বিচারপতির একটি বেঞ্চ, বিচারপতি সুর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি-এর সভাপতিত্বে শুনানি করে সুপ্রীম কোর্ট বলেছে যে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং আস্থা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদালত বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (Special Intensive Revision) পর প্রস্তুত করা ভোটার তালিকার খসড়ার উপর আপত্তি জানানোর সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আস্থার অভাব

সুপ্রীম কোর্ট শুনানির সময় বলেছে যে বিহারে নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আস্থার অভাব দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য উদ্বেগজনক। আদালত এই অভাবকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে গণতন্ত্রের मजबूती্র জন্য এটা জরুরী যে সমস্ত পক্ষ ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং সংশোধনের প্রক্রিয়ার উপর আস্থা রাখে।

আদালত আরও বলেছে যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা কেবল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, বরং গণতন্ত্রের মূল অংশ। এতে সমস্ত আবেদনকারী এবং রাজনৈতিক দলগুলির আপত্তি শোনা এবং তাদের উপযুক্ত সময় দেওয়া জরুরী।

সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

সুপ্রীম কোর্ট বিশেষ নিবিড় সংশোধনের পর প্রস্তুত করা ভোটার তালিকার খসড়ার উপর আপত্তি জানানোর প্রাথমিক সময়সীমা বাড়িয়েছে। আগে এই সময়সীমা ছিল ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, যা এখন বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ করা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হল এটা নিশ্চিত করা যে সমস্ত পক্ষ, বিশেষ করে যারা ভোটার তালিকায় নাম যোগ করতে বা সরাতে ইচ্ছুক, তারা তাদের আপত্তি সময়মতো জমা দিতে পারে। আদালত বলেছে যে এই প্রক্রিয়াটি সবার জন্য স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হওয়া উচিত।

নির্বাচন কমিশনের যুক্তি এবং আবেদনকারীদের আপত্তি

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সিনিয়র আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আদালতকে জানিয়েছেন যে বিহারের জনগণের বিশেষ নিবিড় সংশোধনে কোনো সমস্যা নেই। কেবল আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তুষ্ট।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে প্রাপ্ত বেশিরভাগ আবেদনই ভোটার তালিকা থেকে নাম সরানোর জন্য, যেখানে নাম যোগ করার সংখ্যা খুব কম। কমিশন বলেছে যে সময়সীমা বাড়ালে নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার পুরো সময়সূচী ব্যাহত হবে। যদি সময়সীমা আরও বাড়ানো হয় তবে এটি একটি অনন্ত প্রক্রিয়া হয়ে উঠবে।

অন্যদিকে, আবেদনকারীরা আদালতকে জানিয়েছেন যে নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে এবং তাদের সময়মতো উপযুক্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। আদালত এই বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে বলেছে যে সমস্ত পক্ষের আপত্তি শোনা জরুরী।

অবশেষে সুপ্রীম কোর্ট সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আদালত স্পষ্ট করেছে যে সমস্ত পক্ষকে উপযুক্ত সময় এবং সুযোগ দেওয়া হোক যাতে ভোটার তালিকায় কোনো ভুল বা অভিযোগ না থাকে। সুপ্রীম কোর্ট আরও বলেছে যে রাজ্যে নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আস্থা স্থাপন করা জরুরী। গণতন্ত্রে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a comment