সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে যে নতুন শিক্ষক নিয়োগ এবং পদোন্নতির জন্য এখন TET পাস করা বাধ্যতামূলক। ৫ বছরের কম চাকরির মেয়াদ সম্পন্ন শিক্ষকদের স্বস্তি দেওয়া হয়েছে, যেখানে পুরানো শিক্ষকদের ২ বছরের সময়সীমা দেওয়া হবে।
দিল্লি। আপনি যদি শিক্ষক হতে চান বা পদোন্নতির জন্য আবেদন করার কথা ভাবছেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের নতুন আদেশ আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদালত স্পষ্ট করেছে যে Teacher Eligibility Test (TET) পাস করা এখন প্রত্যেক নতুন শিক্ষক এবং পদোন্নতি প্রত্যাশী শিক্ষকদের জন্য বাধ্যতামূলক হবে।
নতুন চাকরি এবং পদোন্নতির জন্য TET আবশ্যক
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ, যেখানে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি মনমোহন ছিলেন, তাদের আদেশে বলেছেন যে কোনও শিক্ষক যদি নতুন চাকরির জন্য আবেদন করেন বা পদোন্নতি চান, তবে তাকে প্রথমে TET পাস করতে হবে। TET পাস না করে কোনও দাবিই বৈধ বলে বিবেচিত হবে না।
৫ বছরের কম চাকরির মেয়াদ সম্পন্ন শিক্ষকদের স্বস্তি
তবে, আদালত সেইসব শিক্ষকদের স্বস্তি দিয়েছে যাদের চাকরির মেয়াদ ৫ বছরের কম রয়েছে। এই ধরনের শিক্ষকরা TET পাস না করেই অবসর পর্যন্ত তাদের চাকরিতে বহাল থাকতে পারবেন। কিন্তু যদি তারা পদোন্নতি চান, তবে তাদেরও TET পাস করা বাধ্যতামূলক হবে।
পুরানো শিক্ষকদের জন্য ২ বছরের मोहলত
আদালত আরও বলেছে যে যে সমস্ত শিক্ষক Right to Education (RTE) Act, ২০০৯ কার্যকর হওয়ার আগে নিযুক্ত হয়েছেন এবং যাদের চাকরির মেয়াদ ৫ বছরের বেশি বাকি আছে, তাদের দুই বছরের মধ্যে TET পাস করতে হবে। যদি তারা তা না করে, তবে তাদের চাকরি প্রভাবিত হবে এবং তারা শুধুমাত্র টার্মিনাল বেনিফিটসই (অবসরকালীন সুবিধা) পাবেন।
সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলি আপাতত স্বস্তি পাচ্ছে
সুপ্রিম কোর্ট তার আদেশে স্পষ্ট করেছে যে এই নিয়মটি সংখ্যালঘু তকমা প্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির উপর আপাতত প্রযোজ্য হবে না। আসলে, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে যে RTE আইন সংখ্যালঘু স্কুলগুলির উপর প্রযোজ্য হবে কিনা। যতক্ষণ না এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য TET বাধ্যতামূলক হবে না।
নতুন শিক্ষক এবং পদোন্নতি প্রত্যাশীদের জন্য সতর্কতা
আপনি যদি শিক্ষক হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বা আপনার কর্মজীবনে পদোন্নতি চান, তবে এই আদেশটি আপনার জন্য একটি সরাসরি বার্তা। এখন আপনাকে TET পাস করতেই হবে, অন্যথায় নতুন চাকরিও পাওয়া যাবে না এবং পদোন্নতির পথও খুলবে না।
সুপ্রিম কোর্টের মতে, শিক্ষার মান বজায় রাখার জন্য TET অপরিহার্য। এই পরীক্ষা নিশ্চিত করে যে যারা শিক্ষার্থীদের পড়ানোর দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং দক্ষতা রয়েছে।