টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে অবিশ্বাস্য জয়: শেষ ২ বলে ২ ছক্কায় ইতিহাস গড়লেন মিলনেস!

টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে অবিশ্বাস্য জয়: শেষ ২ বলে ২ ছক্কায় ইতিহাস গড়লেন মিলনেস!

ক্রিকেটকে এমনি এমনি অনিশ্চয়তার খেলা বলা হয় না, কারণ এখানে কখন কী হয়ে যায়, তার আন্দাজ করা খুবই মুশকিল। শুক্রবার টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের এক রোমাঞ্চকর ম্যাচে এর চমৎকার উদাহরণ দেখা গেল।

স্পোর্টস নিউজ: ক্রিকেটকে এমনি এমনি 'অনিশ্চয়তার খেলা' বলা হয় না। এখানে কখন কী হয়ে যায়, তা বলা খুবই কঠিন। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ২০২৫-এর একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচে এমনই এক দৃশ্য দেখা গেল, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের অবাক করে দিয়েছে। এই ম্যাচে ইয়র্কশায়ার এবং লিসেস্টারশায়ারের মধ্যে খেলা ম্যাচটি শেষ ওভারে এমন মোড় নেবে, তা কেউ ভাবতেও পারেনি। ২ বলে ১০ রান দরকার ছিল, ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল, ক্রিজে না ছিল কোনো ব্যাটসম্যান, না ছিল কোনো স্টার ফিনিশার... কিন্তু তারপর বোলার দুই বলে দুটি ছক্কা মেরে হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন।

লিসেস্টারশায়ারের প্রথমে ১৮৫ রান

এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লিসেস্টারশায়ার দারুণ শুরু করে। দলের হয়ে রেহান আহমেদ এবং বেন কক্স গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। দুই ব্যাটসম্যানই ৪৩-৪৩ রানের অবদান রাখেন এবং দলের স্কোর ১৮৫ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। যদিও পুরো দল ১৮.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায়। ইয়র্কশায়ারের বোলারদের মধ্যে ম্যাট মিলনেস এবং সাদারল্যান্ড তিনটি করে উইকেট নেন এবং প্রতিপক্ষ দলকে ২০০-এর নিচে আটকে দেন।

ইয়র্কশায়ারের শুরুটা ছিল খুবই খারাপ

১৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইয়র্কশায়ারের শুরুটা খুবই হতাশাজনক ছিল। প্রথম ৫.৩ ওভারে মাত্র ২৩ রানে দলের ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল।

  • উইলিয়াম লাক্সটন - ০০ রান
  • ডেভিড মালান (অধিনায়ক) - ০৬ রান
  • জেমস হোয়ার্টন - ১৪ রান
  • হ্যারি ডিউক - ০০ রান

এমন অবস্থায় জয়ের আশা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরপর ইনিংসে নতুন মোড় আসে।

আব্দুল্লাহ শফিক এবং ম্যাথিউ রেভিস ফিরিয়ে আনেন

দলের অবস্থা যখন খারাপ ছিল, তখন আবদুল্লাহ শফিক এবং ম্যাথিউ রেভিস হাল ধরেন এবং পঞ্চম উইকেটের জন্য शानदार ১১২ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। আবদুল্লাহ শফিক ৩৮ বলে ৬৪ রান করেন, যার মধ্যে ৪টি চার এবং ৪টি ছয় ছিল। ম্যাথিউ রেভিস ৩২ বলে ৫২ রান করেন এবং তাঁর ব্যাট থেকে ৪টি চার এবং ৩টি ছয় আসে। এই দুজনের অবদানের ফলেই ইয়র্কশায়ারের আশা আবার জেগে ওঠে, কিন্তু শেষ ওভারে আবার ম্যাচ পিছলে যেতে দেখা যায়।

ম্যাট মিলনেসের কারিশমা: ২ বলে ১০ রান, দুই ছক্কায় জিতল দল

যখন মনে হচ্ছিল ইয়র্কশায়ার আবারও ম্যাচটি হাত থেকে ফসকে দেবে, তখন ম্যাট মিলনেস এমন কিছু করে দেখালেন যা ক্রিকেট ইতিহাসে কমই দেখা যায়।
১৯.৩ ওভারে দলের স্কোর ছিল ১৭৫/৮। অর্থাৎ এখন ৩ বলে ১১ রান দরকার ছিল। পরের বলে শুধু এক রান আসে, এখন ২ বলে ১০ রান বাকি ছিল। ক্রিজে ছিলেন ম্যাট মিলনেস, যাঁকে বোলিংয়ের জন্যই বেশি চেনা যায়, ব্যাটিংয়ের জন্য নয়। কিন্তু মিলনেস তাঁর দলকে হিরো হয়ে জয় এনে দিলেন।

১৯.৫ ওভার: মিলনেস লং অনের ওপর দিয়ে একটি জোরদার ছক্কা মারলেন। ১৯.৬ ওভার: শেষ বলে আবারও আকাশছোঁয়া ছক্কা হাঁকালেন এবং দলকে शानदार ২ উইকেটে জয় এনে দিলেন। ম্যাট মিলনেস এই ম্যাচে ৩ উইকেটও নেন এবং শেষে নিজের ব্যাটিং দিয়ে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়ে হিরো হয়ে গেলেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই ধরনের ফিনিশ খুবই কম দেখা যায়, যখন একজন বোলার শেষ দুই বলে দুটি ছক্কা মেরে হারা বাজি পাল্টে দেয়।

Leave a comment