শ্রেয়াস আইয়ারের গুরুতর চোট: পাঁজরে আঘাত, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ও আইসিইউতে ভর্তি

শ্রেয়াস আইয়ারের গুরুতর চোট: পাঁজরে আঘাত, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ও আইসিইউতে ভর্তি
সর্বশেষ আপডেট: 2 ঘণ্টা আগে

ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটসম্যান ও সহ-অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার (Shreyas Iyer)-এর ভক্তদের জন্য একটি উদ্বেগজনক খবর সামনে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের সময় তিনি গুরুতর আঘাত (Serious Injury) পেয়েছেন। 

খেলাধুলার খবর: ভারতীয় ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের সময় ক্যাচ ধরার সময় পাঁজরে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। এখন সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তার চোট প্রত্যাশার চেয়েও গুরুতর বলে জানা গেছে এবং তাকে সিডনির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তিনি বর্তমানে আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট)-তে আছেন।

পিটিআই সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আঘাত পাওয়ার পর আইয়ারের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ (Internal Bleeding) শুরু হয়েছিল, যার কারণে ডাক্তাররা তাকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন। সূত্র জানিয়েছে যে, মেডিকেল টিম সতর্কতা হিসেবে আইয়ারকে ২ থেকে ৭ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে রক্তক্ষরণের কারণে কোনো ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যায়।

কীভাবে আঘাত পেলেন শ্রেয়াস আইয়ার?

এই ঘটনাটি সিডনিতে খেলা তৃতীয় ওয়ানডের সময় ঘটেছিল। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারির একটি শট বাতাসে যায়, যা আটকাতে আইয়ার ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের দিকে দৌড়ে গিয়ে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ ধরেন। তবে, এই প্রচেষ্টায় তার পাঁজরে তীব্র আঘাত লাগে। পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আইয়ার ব্যথায় ছটফট করতে থাকেন এবং কয়েক মিনিট মাঠে শুয়ে থাকেন। দলের ফিজিও অবিলম্বে মাঠে পৌঁছান এবং প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)-এর মেডিকেল টিম অবিলম্বে তাকে সিডনির একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। পিটিআই (PTI) রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি সূত্র জানিয়েছে যে, পরীক্ষার সময় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের লক্ষণ পাওয়া যায়, যার কারণে তাকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, শ্রেয়াস আইয়ার পাঁজরে আঘাত পাওয়ার পর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের সমস্যায় ভুগছিলেন। ডাক্তাররা কোনো ঝুঁকি না নিয়ে তাকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল, তবে সংক্রমণ (Infection) ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে তাকে ২ থেকে ৭ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

মাঠ থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় অবস্থার অবনতি

ম্যাচের সময় আঘাত পাওয়ার পর যখন তাকে ড্রেসিং রুমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তার রক্তচাপ, পালস রেট এবং শরীরের তাপমাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল। একই সাথে, তার শ্বাস নিতেও অসুবিধা হচ্ছিল। এরপর দলের ডাক্তাররা সময় নষ্ট না করে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। ডাক্তাররা জানান যে, তার আঘাত যদি গভীর হতো তবে পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারত।

একটি সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর ছিল। যদি তিনি আরও কিছুক্ষণ চিকিৎসা সহায়তা না পেতেন, তাহলে এটি প্রাণঘাতী প্রমাণিত হতে পারত। তবে ভালো খবর হলো যে, এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। শ্রেয়াস আইয়ারের আঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে এটি অনুমান করা হচ্ছে যে, তার দীর্ঘ বিশ্রামের প্রয়োজন হবে।

পাঁজরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ থেকে সেরে ওঠা সহজ নয় এবং খেলোয়াড়দের পুনরায় ফিটনেস ফিরে পেতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। শ্রেয়াসের সুস্থ হতে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। কোনো ধরনের সংক্রমণ বা জটিলতা এড়াতে মেডিকেল টিম সম্পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করছে।

Leave a comment