নওয়াদাতে তেজস্বীর সরকার বিরোধী ভাষণ, আরজেডিতে যোগ দিলেন একাধিক নেতা

নওয়াদাতে তেজস্বীর সরকার বিরোধী ভাষণ, আরজেডিতে যোগ দিলেন একাধিক নেতা

নওয়াদাতে তেজস্বী যাদব, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো বিষয় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব। কৌশল যাদব, পূর্ণিমা যাদব এবং সলমন রাগিব সহ ২ ডজনের বেশি নেতা আরজেডি-র সদস্যপদ গ্রহণ করলেন।

বিহার নির্বাচন: নওয়াদাতে আয়োজিত এক বিশাল মিলন অনুষ্ঠানে আরজেডি নেতা এবং প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বিহারে শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং অপরাধের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় জনগন অতিষ্ঠ। যুবকদের উদ্দেশ্যে তেজস্বী আহ্বান জানান, রাজ্যে পরিবর্তন আনতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করতে হবে।

প্রধান নেতাদের আরজেডিতে প্রত্যাবর্তন

অনুষ্ঠানটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল নওয়াদার প্রাক্তন বিধায়ক কৌশল যাদব, গোবিন্দপুরের প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণিমা যাদব এবং প্রাক্তন এমএলসি সলমন রাগিব-এর রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর সদস্যপদ গ্রহণ। এই সকল নেতাদের আরজেডি-র সদস্যপদ স্বয়ং তেজস্বী যাদব মঞ্চে দেন। এদের সঙ্গে আরও দুই ডজনের বেশি নেতা ও কর্মী লালटेन ধরার সিদ্ধান্ত নেন। এটিকে আরজেডি-র জন্য একটি বড় সাংগঠনিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

শত শত কর্মীর জেডিইউ ছেড়ে আরজেডিতে যোগদান

অনুষ্ঠানে জেডিইউ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা শত শত কর্মী এবং কৌশল যাদবের সমর্থকরাও আরজেডি-র সদস্যপদ গ্রহণ করেন। মঞ্চ থেকে প্রায় দুই ডজন বড় নেতার নাম ঘোষণা করা হয়, যারা আরজেডি-তে যোগ দেন। এর থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে নওয়াদা এবং আশেপাশের এলাকাগুলিতে আরজেডি-র প্রভাব বাড়ছে।

তেজস্বী যাদবকে সম্মান, জনতার মধ্যে উন্মাদনা

তেজস্বী যাদব মঞ্চে আসার পর তাকে সোনার মুকুট এবং রুপোর লালনটেন উপহার দেওয়া হয়। এর সঙ্গে ফুলের মালা পরিয়ে সম্মানিত করা হয়। তেজস্বী তাঁর ভাষণের সূচনা করেন "জয় নওয়াদা, বিজয় নওয়াদা, नया नवादा" স্লোগান দিয়ে, যা মাঠে উপস্থিত হাজার হাজার যুবকের মধ্যে বিপুল উৎসাহ যোগায়। অনুষ্ঠানে সকাল থেকেই প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সকল বয়সের মানুষ তেজস্বীর ভাষণ শুনতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন।

আরজেডি-র শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি

মঞ্চে আরজেডি-র বহু শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন প্রাদেশিক সভাপতি মগনিল লাল মন্ডল, প্রাক্তন বিধানসভার অধ্যক্ষ উদয় নারায়ণ চৌধুরী, বিধায়ক শক্তি সিং যাদব, দলের সম্পাদক শ্রাবণ কুশওয়াহা, জেলা সভাপতি উদয় যাদব, প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ কুমার, বিনয় যাদব, নারায়ণ স্বামী মোহন, পিঙ্কি ভারতী, প্রেমা চৌধুরী, আনোয়ার ভাট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ।

মগনিল লাল মন্ডলের ইঙ্গিত

আরজেডি-র প্রাদেশিক সভাপতি মগনিল লাল মন্ডল বলেন, কৌশল যাদব, পূর্ণিমা যাদব এবং সলমন রাগিব-এর মতো নেতাদের দলে আসায় আরজেডি আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিহারের পরবর্তী সরকার তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বেই গঠিত হবে। তিনি বিজেপি এবং জেডিইউ-কে সতর্ক করে বলেন, রাজ্যের হাওয়া এখন তেজস্বীর দিকে বইছে।

উদয় নারায়ণ চৌধুরীর সামাজিক ঐক্যের উপর জোর

আরজেডি নেতা উদয় নারায়ণ চৌধুরী বলেন, কৌশল যাদব এই মিলন সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণীকে একত্রিত করার কাজ করেছেন। তিনি বলেন, অতি-পশ্চাদপদ, তফসিলি জাতি, পশ্চাদপদ, সংখ্যালঘু এবং দরিদ্র শ্রেণীকে একত্রিত করে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করা হচ্ছে।

Leave a comment