সরকার টেক্সটাইলস সেক্টরে PLI স্কিমের আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৪টি কোম্পানি ২৮,৭১১ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নতুন আবেদন উইন্ডো আরও কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দেবে, যা ভারতীয় টেক্সটাইল শিল্পকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা, কর্মসংস্থান এবং রপ্তানিতে শক্তিশালী করার আশা করা হচ্ছে।
PLI স্কিম: সরকার টেক্সটাইলস সেক্টরে প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিমের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৪টি কোম্পানি এই স্কিমের অধীনে ২৮,৭১১ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নতুন আবেদন উইন্ডো সেইসব কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দেবে যারা আগে আবেদন করতে পারেনি বা এখন বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই পদক্ষেপ ভারতীয় টেক্সটাইল শিল্পকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় শক্তিশালী করতে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে এবং রপ্তানি সম্প্রসারণে সাহায্য করবে এবং সেক্টরটিকে নতুন দিক প্রদান করবে।
টেক্সটাইল সেক্টরে সরকারের মনোযোগ
সরকারের উদ্দেশ্য হল টেক্সটাইল শিল্পে বিনিয়োগকে আরও উৎসাহিত করা। এটি দেশের টেক্সটাইল কোম্পানিগুলোকে বিশ্ব স্তরে প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার সুযোগ করে দেবে। মন্ত্রক স্পষ্ট করেছে যে আবেদন উইন্ডো বাড়ানোর পরেও নিয়ম ও শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে যা পূর্বে নির্বাচিত কোম্পানিগুলির জন্য প্রযোজ্য ছিল। এটি নিশ্চিত করে যে নতুন কোম্পানিগুলিও সমান সুযোগ পাবে।
PLI স্কিমে এখন পর্যন্ত কতগুলি কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত
আগস্ট ২০২৫-এ আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, তখন ম্যান মেড ফাইবার (MMF) অ্যাপারেল, MMF ফ্যাব্রিকস এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইলস সেক্টর থেকে মোট ২২টি নতুন আবেদনপত্র পাওয়া গিয়েছিল। এই আবেদনপত্রগুলি শিল্প জগতের এই স্কিম সম্পর্কে উৎসাহের ইঙ্গিত দিয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৭৪টি কোম্পানিকে এই স্কিমের অধীনে সুবিধাভোগী ঘোষণা করা হয়েছে। এই কোম্পানিগুলি সরকারের কাছে ২৮,৭১১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই বিনিয়োগগুলি ভারতীয় টেক্সটাইল সেক্টরকে অনেক সুবিধা দেবে। প্রথমত, এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি, রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে এবং টেক্সটাইল শিল্প বিশ্ব বাজারে শক্তিশালী প্রতিযোগিতার সুযোগ পাবে। বিনিয়োগের পাশাপাশি উৎপাদন ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে, যা পুরো শিল্পের গতি বাড়িয়ে তুলবে।
নতুন কোম্পানিগুলির জন্য সুযোগ
আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর ফলে নতুন কোম্পানিগুলিও PLI স্কিমের অংশ হওয়ার সুযোগ পাবে। এটি সেইসব কোম্পানিগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যারা এখনও পর্যন্ত স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। নতুন কোম্পানিগুলির অংশগ্রহণের ফলে মোট বিনিয়োগ এবং উৎপাদন উভয়ই বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি শিল্পকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশের টেক্সটাইল সেক্টরকে বিশ্বমানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলতে সাহায্য করবে।
রপ্তানি ও উৎপাদনে গতি
সরকারের লক্ষ্য হল ভারতকে বিশ্ব স্তরে একটি নির্ভরযোগ্য টেক্সটাইল সাপ্লাই চেইন পার্টনার হিসেবে গড়ে তোলা। PLI স্কিম এই দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর ফলে টেক্সটাইল সেক্টরে বিনিয়োগের গতি বাড়বে এবং কোম্পানিগুলির জন্য উৎপাদন ও রপ্তানির নতুন সুযোগ উন্মোচিত হবে। আগামী মাসগুলিতে এই স্কিমের প্রভাবে সেক্টরটি নতুন দিকনির্দেশনা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্মসংস্থান ও রপ্তানির উপর প্রভাব
PLI স্কিমের অধীনে বিনিয়োগ কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে। কোম্পানিগুলির উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন কর্মচারীদের চাহিদাও বাড়বে। এছাড়াও, রপ্তানি বৃদ্ধির ফলে বিদেশী বাজারে ভারতীয় টেক্সটাইল কোম্পানিগুলির পরিচিতি আরও শক্তিশালী হবে। এই পদক্ষেপটি ভারতের টেক্সটাইল শিল্পকে বিশ্ব স্তরে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে সাহায্য করবে।