Trump Tariff: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় করে বিশ্ববাজারে বাজিমাত করেছে। ট্রাম্পের চাপ ও হুমকির পরও কেন্দ্রীয় সরকার রাশিয়া থেকে সস্তা তেল কিনে ডিজেল রফতানি করেছে, যা অগাস্টে ১৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপের বাজারে রফতানি বার্ষিক ভিত্তিতে ১২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধাঁধায় ফেলেছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
মার্কিন চাপ ও শুল্কের পটভূমি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও থামেনি। আমেরিকা রাশিয়ার অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে ভারতকে চাপ দিতে চাচ্ছে। এজন্য ট্রাম্প ভারত থেকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা পরে ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে।
ভারতের লাভ ও রফতানি বৃদ্ধির পরিসংখ্যান
ভারত ট্রাম্পের হুমকিতে দমেনি। কেন্দ্র সরকার রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় করে বিশ্ববাজারে বিক্রি করছে। অগাস্টে ভারতের ডিজেল রফতানি ১৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনে ২,৪২,০০০ ব্যারেল রফতানি হচ্ছে। ইউরোপে ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি, বার্ষিক ভিত্তিতে ১২৪ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গেছে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতামত
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপে রফতানি বৃদ্ধির কারণ হলো: শীতকালীন চাহিদা, অগ্রিম রক্ষণাবেক্ষণ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিধিনিষেধ। তবে তারা মনে করছেন, ২০২৫ জুড়ে ডিজেলের চাহিদা বেশি থাকবে, এবং সস্তা রাশিয়া তেল ভারতের জন্য সুবিধাজনক।
আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও ভারতের প্রতিক্রিয়া
রাশিয়ার তেল কেনায় ভারত আন্তর্জাতিক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনে প্রক্রিয়াজাত করে পশ্চিমি দেশে বিক্রি করছে, যা মুনাফা দিচ্ছে। তবে নয়াদিল্লি এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, চুক্তি বন্ধ করতে চাইলে পশ্চিমি দেশগুলি করতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনে বিশ্ববাজারে লাভ করেছে। রিপোর্ট বলছে, ভারতের ডিজেল রফতানি অগাস্টে ১৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপের বাজারে ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে বার্ষিক ভিত্তিতে ১২৪ শতাংশের উত্থান হয়েছে।