লখনউ-এর চৌধুরী চরণ সিং বিমানবন্দর থেকে SIT মাফিয়া মুখতার আনসারির ডান হাত এবং আইএস ১৯১ গ্যাংয়ের মূল সদস্য 'ডাম্পি'কে গ্রেপ্তার করেছে। সে টাওয়ার কোম্পানিগুলির ডিজেল কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিল। ডাম্পির বয়ান থেকে পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা এবং মাফিয়া সর্দারদের বিরুদ্ধে বড় তথ্য ফাঁস হতে পারে।
লখনউ: উত্তরপ্রদেশে SIT বুধবার সকালে লখনউ-এর চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাফিয়া ডন মুখতার আনসারির বিশ্বস্ত ম্যানেজার এবং আইএস ১৯১ গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য 'ডাম্পি'কে গ্রেপ্তার করেছে। ডাম্পি টাওয়ার কোম্পানিগুলির ডিজেল সরবরাহ নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশ করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ উপার্জনে জড়িত ছিল। তার গ্রেপ্তারের ফলে পূর্বাঞ্চলের অনেক প্রভাবশালী নেতা এবং মাফিয়া সর্দারদের সমস্যা বাড়তে পারে এবং গ্যাংয়ের আর্থিক-রাজনৈতিক নেটওয়ার্কের পর্দাফাঁস হতে পারে।
ডাম্পি কে এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ
গাজিপুরের বাসিন্দা ডাম্পি কোনো সাধারণ অপরাধী নয়। সে প্রয়াত মাফিয়া মুখতার আনসারির বিশ্বস্ত ম্যানেজার এবং আইএস ১৯১ গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য ছিল। মুখতার আনসারির শক্তি ও প্রভাব ব্যবহার করে ডাম্পি টেলিকম টাওয়ার কোম্পানিগুলির ডিজেল সরবরাহ নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশ করেছিল। এছাড়াও, প্রাক্তন সাংসদ অতুল রায়ের সঙ্গে মিলে সে ডিজেল চুরি ও কালোবাজারির একটি বড় নেটওয়ার্ক চালাত, যার ফলে কোটি কোটি টাকার অবৈধ উপার্জন হয়েছিল।
ডাম্পি টাওয়ার কোম্পানিগুলিকে হুমকি দিয়ে ডিজেলের সরবরাহের দখল নিত এবং তারপর তা কালোবাজারে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করত। তদন্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী, গ্রেপ্তারের সময় ডাম্পি বিদেশ পালানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু SIT-এর তৎপরতার কারণে তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
টাওয়ার ডিজেল কেলেঙ্কারির পরিধি
ডাম্পির কাছে এই কেলেঙ্কারির সমস্ত ভেতরের তথ্য আছে। তার বয়ান থেকে গাজিপুর এবং পূর্বাঞ্চলের অনেক বড় নেতা ও মাফিয়া সর্দারদের সমস্যা বাড়তে পারে। সূত্র অনুযায়ী, যে নামগুলির উল্লেখ করা হচ্ছে তাদের মধ্যে অখন্ড রায়, অঙ্গদ রায়, প্রাক্তন সাংসদ অতুল রায়, বিধায়ক অভয় সিং এবং মুখতার আনসারির ছেলে ও বিধায়ক আব্বাস আনসারি অন্তর্ভুক্ত।
এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, যদি ডাম্পি SIT-কে সমস্ত বিবরণ দেয়, তাহলে গ্যাংয়ের কার্যপ্রণালী, অর্থায়ন এবং রাজনৈতিক সংযোগের পর্দাফাঁস হবে। এর ফলে মুখতার আনসারির সিন্ডিকেটের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যেতে পারে। ডাম্পির গ্রেপ্তার যোগী সরকারের মাফিয়া বিরোধী অভিযানকে আরও শক্তিশালী করবে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও সক্রিয় হতে পারে
ডাম্পির গ্রেপ্তার সমগ্র নেটওয়ার্কের অবসানের সূচনাও প্রমাণ হতে পারে। তার নির্দেশনায় গ্যাংয়ের গোপন সম্পত্তি, জমি, হোটেল এবং ফার্মহাউসের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) দিক থেকে সক্রিয় হতে পারে। গ্যাংস্টার অ্যাক্টের অধীনে পদক্ষেপের ফলে পূর্বাঞ্চলে মাফিয়া এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের কার্যকলাপে প্রভাব পড়বে।
রাজনীতি ও অপরাধ জগতে আলোড়ন
ডাম্পির গ্রেপ্তার উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি এবং অপরাধ জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই গ্রেপ্তার শুধু টাওয়ার ডিজেল কেলেঙ্কারির সঙ্গেই সম্পর্কিত নয়, বরং এর ফলে পূর্বাঞ্চলের অনেক প্রভাবশালী ও শক্তিশালী ব্যক্তির নাম প্রকাশ্যে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই কেলেঙ্কারির মূলে পৌঁছানোর জন্য পুরোপুরি সচেষ্ট রয়েছে।
পূর্বাঞ্চলের নেতাদের উপর বিপদ
ডাম্পির বয়ানে পূর্বাঞ্চলের অনেক প্রভাবশালী নেতা ও মাফিয়া সর্দারদের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নেটওয়ার্কের পর্দাফাঁস হতে পারে। এই বিষয়টি শুধু অপরাধের নয়, এর রাজনৈতিক দিকও রয়েছে। SIT-এর তদন্ত থেকে স্পষ্ট হবে যে এই কেলেঙ্কারিতে কারা কারা জড়িত ছিল এবং কীভাবে কোটি কোটি টাকার অবৈধ উপার্জন করা হয়েছে।











