ট্রাম্পের নতুন চাল: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের হুমকি

ট্রাম্পের নতুন চাল: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের হুমকি

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর ট্রাম্প বলেছেন যে আমেরিকা রাশিয়ার উপর সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপ করতে পারে। এই পদক্ষেপ যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।

ট্রাম্পের শুল্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন যে এই পদক্ষেপগুলো রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি (ceasefire) এবং স্থায়ী শান্তি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা জোরদার করেছে, যা যুদ্ধকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প রাশিয়ার উপর সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা বিবেচনা করে বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল তৈরি করেছেন।

ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট

ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'টুথ সোশ্যাল'-এ লিখেছেন যে রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্রে बुरी तरह ধ্বংস করছে। তিনি বলেছেন যে আমি ব্যাপক ব্যাংকিং নিষেধাজ্ঞা, অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্কের কথা ভাবছি। যুদ্ধবিরতি এবং চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞাগুলো বলবৎ থাকতে পারে।

ট্রাম্প এই বার্তা দিয়ে স্পষ্ট করেছেন যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের উচিত এখনই আলোচনায় বসা, এর আগে যে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তাঁর এই বক্তব্যে বিশ্ব কূটনীতি এবং অর্থনীতির উপরও প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

রাশিয়ার উপর সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞার প্রভাব

আমেরিকার পক্ষ থেকে রাশিয়ার উপর সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞা কেবল রাশিয়াকেই প্রভাবিত করবে না, বরং যেসব দেশ রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস কিনছে, তাদেরও প্রভাবিত করবে। এর মধ্যে ভারতও অন্তর্ভুক্ত।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন যে যদি রাশিয়া এবং তার কাছ থেকে শক্তি ক্রয়কারী দেশগুলোর উপর আরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে মস্কোর অর্থনীতি গুরুতর সংকটে পড়তে পারে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল পুতিনকে ইউক্রেনের সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আলোচনার টেবিলে আনা।

ট্রাম্পের কূটনৈতিক আলোচনা

এর আগে ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতাদের সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। তিনি আলাস্কায় পুতিনের সাথে কথা বলেছেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন। ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ছিল উভয় দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করা।

তবে, এই বৈঠকগুলোর পরেও রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে। ট্রাম্প আবারও সতর্ক করেছেন যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যার মধ্যে সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্কও অন্তর্ভুক্ত।

Leave a comment