মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্রিটেন সফর: উষ্ণ অভ্যর্থনা ও উইন্ডসর ক্যাসেলে জমকালো নৈশভোজ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্রিটেন সফর: উষ্ণ অভ্যর্থনা ও উইন্ডসর ক্যাসেলে জমকালো নৈশভোজ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মেলানিয়া ট্রাম্পকে ব্রিটেনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। উইন্ডসর ক্যাসেলে এক জমকালো নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। ট্রাম্প এটিকে তাঁর জীবনের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান বলে অভিহিত করেছেন এবং উভয় দেশের সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন।

ট্রাম্পের ব্রিটেন সফর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে ব্রিটেনের এক সরকারি সফরে রয়েছেন। এই সফরটি কিং তৃতীয় চার্লসের আমন্ত্রণে হয়েছে এবং এটিকে ব্রিটেনের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় সফরগুলির মধ্যে গণ্য করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি ব্রিটেনে পৌঁছান এবং তাঁদের জমকালো অভ্যর্থনা জানানো হয়।

স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা

লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে এয়ার ফোর্স ওয়ান অবতরণ করে। এখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওয়ারেন স্টিফেনস এবং কিংস লর্ড-ইন-ওয়েটিং ভিসকাউন্ট হেনরি হুড প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্বাগত জানান। এই অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের সময় ব্রিটেন এবং আমেরিকার মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার মনোভাব দেখা গেছে।

উইন্ডসর ক্যাসেলে জমকালো রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে স্বাগত জানানোর উপলক্ষে উইন্ডসর ক্যাসেলে একটি জমকালো রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে মোট ১৬০ জন অতিথি অংশ নেন। রাজা তৃতীয় চার্লস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং আমেরিকা-ব্রিটেন সম্পর্ক জোরদার করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।

এই অসাধারণ অভ্যর্থনা এবং সম্মান দেখে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অত্যন্ত আনন্দিত হন। তিনি এটিকে তাঁর জীবনের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্প আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সম্পর্ককে সঙ্গীতের উপমায় বর্ণনা করেছেন। তাঁর মতে, আমেরিকা এবং ব্রিটেন উভয়ই ভিন্ন এবং সুন্দর, কিন্তু এগুলিকে একসঙ্গে বাজানো উচিত।

তবে ট্রাম্পের এই সফরের বিরোধিতা করাও হয়েছিল। বুধবার লন্ডনে হাজার হাজার মানুষ মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়। এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং কর্মী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যাবোরশন রাইটস-এর মতো নারী সংগঠন এবং ফিলিস্তিনপন্থী গোষ্ঠীগুলি প্রধান ছিল।

উইন্ডসর ক্যাসেলের বাইরে একটি ছোট ভিড় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং মেলানিয়াকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। প্রতিবাদ বিক্ষোভ এবং অভ্যর্থনা উভয়কে মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠোর রাখা হয়েছিল।

ব্রিটেন-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সফরের সময় আমেরিকা এবং ব্রিটেনের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা, বন্ধুত্ব এবং একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ট্রাম্প এটিকে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ট্রাম্প এবং কিং চার্লসের সাক্ষাৎ

ব্রিটেনে ট্রাম্প এবং কিং তৃতীয় চার্লসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক এবং গভীর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই সাক্ষাতে আমেরিকা এবং ব্রিটেনের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। উভয় নেতা বৈশ্বিক বিষয়গুলি নিয়েও মতামত বিনিময় করেন এবং যৌথ সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প করেন।

Leave a comment