রেয়ার আর্থ সরবরাহ বন্ধ করলে চীনের উপর 200% শুল্ক: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

রেয়ার আর্থ সরবরাহ বন্ধ করলে চীনের উপর 200% শুল্ক: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনকে সতর্ক করে বলেছেন, যদি তারা রেয়ার আর্থ ম্যাগনেটের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমেরিকা তাদের ওপর 200% শুল্ক আরোপ করবে। ট্রাম্প জানান, চীনের ক্ষতি করার মতো বিকল্প আমেরিকার কাছে রয়েছে, যদিও তারা সম্পর্ক খারাপ করতে চান না এবং শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যিক পরিবেশ বজায় রাখার পক্ষপাতি।

Rare Earth Metals: ওয়াশিংটনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে ম্যুংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, যদি চীন হাই-টেক এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় রেয়ার আর্থ ম্যাগনেটের সরবরাহ বন্ধ করে, তাহলে আমেরিকা তার ওপর 200% শুল্ক বসাবে। তিনি স্পষ্ট করে জানান, আমেরিকা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এবং চীনের ক্ষতি করার মতো বিকল্প তাদের কাছে আছে, কিন্তু তিনি সম্পর্ক খারাপ করতে চান না। একইসঙ্গে, মার্কিন ট্রেজারি চীনকে বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বেশি দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ট্রাম্প কী বলেছেন

ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা ও চীনের সম্পর্ক ভালো হতে পারে, তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে আমেরিকার কাছে এমন বিকল্প আছে যা চীনের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। যদিও তিনি স্পষ্ট করেছেন যে তার উদ্দেশ্য সম্পর্ক খারাপ করা নয়। তিনি চান দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় থাকুক এবং পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকে।

রেয়ার আর্থ নিয়ে কড়া মনোভাব

মানি কন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প বিশেষভাবে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট নিয়ে চীনের নীতির ওপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, যদি চীন প্রয়োজনীয় ম্যাগনেটের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমেরিকা বাধ্য হয়ে এর ওপর 200 শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করবে।

রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রি, ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পণ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আমেরিকা এই সরবরাহের জন্য মূলত চীনের ওপর নির্ভরশীল। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এই বক্তব্য শুধুমাত্র বাণিজ্যিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা নয়, বরং এটিকে একটি কৌশলগত বার্তাও মনে করা হচ্ছে।

চীন সফরের ইঙ্গিত

ট্রাম্প আরও জানান, সম্প্রতি তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সম্ভবত তিনি শীঘ্রই চীন সফর করবেন। ট্রাম্প দাবি করেন, আমেরিকা ও চীনের কাছে অনেক বিকল্প রয়েছে, কিন্তু তারা কঠোর পদক্ষেপ নিতে চান না। তিনি আরও বলেন, যদি এই বিকল্পগুলো ব্যবহার করা হয়, তাহলে চীনকে বড়সড় অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

চীনের নীতিতে আমেরিকার অসন্তোষ

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও চীনের আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, চীন उन देशों के साथ तेल का व्यापार कर रहा है जिन पर আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা लगे हैं, खासकर ईरान और रूस। बेसেন্ট সুইডেনে একটি আন্তর্জাতিক বৈঠকে বলেন, চীনের উৎপাদন এবং রফতানি নীতিতে ভারসাম্য আনা উচিত।

তিনি বলেন, যদি চীন দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, তাহলে বিশ্ব বাণিজ্যের পরিবেশ স্থিতিশীল থাকতে পারবে। আমেরিকা চায় চীন শুধুমাত্র নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের দিকে মনোযোগ না দিয়ে, বিশ্ব অর্থনীতিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করুক।

আমেরিকা-চীন টানাপোড়েন

ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় কার্যকালে এপ্রিল মাসে আমেরিকা চীনা পণ্যের ওপর 145 শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিল। যদিও পরে তা কমিয়ে বেশিরভাগ পণ্যের ওপর 30 শতাংশ করা হয়। এর জবাবে চীন अमेरिकी सामानों पर 10 फीसदी टैरिफ जारी रखा और अप्रैल में रेयर अर्थ के निर्यात पर सख्त पाबंदियां लगाईं।

পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পরেও দুই দেশ অগাস্ট মাসে উত্তেজনা কমানোর ইঙ্গিত দেয়। আমেরিকা ও চীন 90 দিনের জন্য পারস্পরিক বাণিজ্যিক বিবাদ নরম করতে সম্মত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা।

ফের বাড়তে পারে উত্তেজনা

ট্রাম্পের এই নতুন বক্তব্যে স্পষ্ট যে, যদি চীন রেয়ার আর্থ ম্যাগনেটের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলে পরিস্থিতি আবার খারাপ হতে পারে। আমেরিকার কৌশল এখন এই সরবরাহ নিয়ে খুবই কঠোর দেখাচ্ছে। চীন বর্তমানে এই রেয়ার আর্থ সম্পদের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক এবং বিশ্বের একটা বড় অংশ এর ওপর নির্ভরশীল।

Leave a comment