মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার একটি বড় এবং বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক (আমদানি শুল্ক) আরোপের ঘোষণা করেছেন। এই শুল্ক ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, তবে এখন এটি ৭ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
US News: ভারতের অর্থনীতিকে "মৃত" বলা ডোনাল্ড ট্রাম্প কি নিজের দেশের অর্থনীতির পরিসংখ্যান দেখছেন? সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন, যা আপাতত ৭ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময় তিনি ভারতের অর্থনীতিকে "মৃত অর্থনীতি" বলে কটাক্ষ করেন, যা কেবল ভিত্তিহীন নয়, বাস্তব বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতির সঙ্গেও মেলে না।
অন্যদিকে, ভারতীয় অর্থনীতি ক্রমাগত দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্ব অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম, যেখানে আমেরিকা নিজেই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়ছে—যেমন চাকরির ধীর বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং উন্নয়ন হার হ্রাস।
সত্যিই কি ভারতের অর্থনীতি মৃত?
ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ট্রাম্প যে ধরনের বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথা বলেছেন, তা কেবল রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবেই বিবেচিত হতে পারে। বাস্তবতা হল, ভারত ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ এবং ওইসিডি-র মতো সংস্থাগুলিও ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হারকে স্থিতিশীল ও শক্তিশালী বলেছে।
২০২৪-২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি ৭.৮% পর্যন্ত পৌঁছেছে, যা বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ। এর বিপরীতে, মার্কিন অর্থনীতির বৃদ্ধির হার মাত্র ২.১% दर्ज করা হয়েছে।
মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠছে?
ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি বিপরীতে, বর্তমান মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী:
- এপ্রিল ২০২৫ থেকে ৩৭,০০০-এর বেশি উৎপাদন ক্ষেত্রের চাকরি শেষ হয়েছে।
- জুলাই ২০২৫-এ মাত্র ৭৩,০০০ চাকরি যুক্ত হয়েছে, যেখানে গত বছর এই মাসে গড়ে ১৬৮,০০০ চাকরি যুক্ত হচ্ছিল।
- মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৩%-এর উপরে রয়েছে, যা সাধারণ ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে।
ট্রাম্পের নীতি প্রশ্নের घेरे में
ট্রাম্প তাঁর কার্যকালের শুরুতে 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতির অধীনে বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক চাপিয়েছিলেন। তিনি মনে করতেন এতে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি কম হবে, কিন্তু এর বিপরীত প্রভাব দেখা গেছে। মাসিক रोजगार रिपोर्ट অনুযায়ী, আমেরিকার ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের উপর এই শুল্কের খারাপ প্রভাব পড়েছে।
এছাড়াও, ট্রাম্প সম্প্রতি रोजगार डेटा প্রকাশকারী সরকারি সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন, যখন রিপোর্টে নেতিবাচক आंकड़े सामने आए। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ এবং এর সভাপতি জেরোম পাওয়েলকে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে ফেড যেন অবিলম্বে সুদের হার কমায়, যাতে বাজারে পুঁজির প্রবাহ বাড়ে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সুদের হার কমালে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়তে পারে, কারণ ইতিমধ্যেই শুল্কের কারণে জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।
প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন তাঁর কার্যকালে चेतावनी दी थी कि टैरिफ का बोझ अमेरिकी उपभोक्ताओं पर ही पड़ेगा। यह नीति अमेरिका की विकास गति को बाधित कर सकती है। আজ वही चेतावनी हकीकत में बदलती नजर आ रही है। अमेरिकी मिडिल क्लास इस समय महंगाई और नौकरी संकट से परेशान है।