কলকাতা: সাধারণত আমরা হলুদকে রান্নার রং এবং স্বাদের জন্য ব্যবহার করি, কিন্তু রোজের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য হলুদ রাখলেই হার্টের জন্য অনেক উপকার হয়। কারকিউমিন উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ঘুমের আগে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো দুধে মিশিয়ে খেলে হৃদরোগসহ অন্যান্য ক্রনিক সমস্যার ঝুঁকি কমে।
কারকিউমিন: শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামের যৌগ, যা শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি প্রদাহ কমায় এবং হার্টের কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত হলুদ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
প্রতিদিন সামান্য হলুদ খেলে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। খারাপ কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমতে পারে না, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এটি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
রক্ত সঞ্চালন ও হার্টের কোষ সুরক্ষা
হলুদ রক্ত সঞ্চালন উন্নত রাখে, ফলে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছায়। এটি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায়। কারকিউমিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে কোষকে ক্ষতিকর মুক্ত র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে।
অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদ শুধু হৃদরোগ নয়, জয়েন্টের ব্যথা, ফ্যাটি লিভার, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সর্দি-কাশি কমাতেও সহায়ক। ঘরে তৈরি খাবারে নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
হলুদের সঠিক খাওয়ার উপায়
হলুদ গুঁড়ো রান্নায় ব্যবহার করুন, সকালে কাঁচা হলুদ খান বা গরম জলে চা হিসেবে পান করুন। রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ গরম দুধে হলুদ ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে ঘুম ভালো হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।হলুদ শুধু স্বাদ বা রান্নার রং নয়, এটি হার্টের ‘গোল্ডেন গার্ড’। নিয়মিত ব্যবহারে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য উন্নত হয়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্ত সঞ্চালন সচল থাকে। স্বাস্থ্যকর জীবনধারার অংশ হিসেবে হলুদকে খাদ্যাভ্যাসে রাখুন।
হলুদকে শুধু রান্নার মশলা ভাববেন না। Turmeric for heart health: নিয়মিত হলুদ খেলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা কমে। কারকিউমিন যৌগ হার্টের কোষ সুরক্ষিত রাখে, রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে এবং প্রদাহ কমায়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রতিদিন সামান্য হলুদ খাদ্যাভ্যাসে রাখলেই হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।