সকলেই চান ঝকঝকে, দাগছোপহীন এবং উজ্জ্বল ত্বক। ব্যয়বহুল প্রসাধনী ও চিকিৎসার বদলে এখন মহিলারা ঘরোয়া প্রতিকার বেশি ভরসা করছেন। সেই তালিকার শীর্ষে হলুদ এবং বেসন। শতাব্দী ধরে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এই উপাদানগুলো ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে ইন্সট্যান্ট গ্লো বা তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা চাইলে কোনটি বেশি কার্যকর? এই প্রতিবেদনে আমরা জেনে নেব হলুদ ও বেসনের ফেসপ্যাকের পার্থক্য এবং সঠিক ব্যবহার।
হলুদের ফেসপ্যাক
বার্ধক্য-বিরোধী বৈশিষ্ট্য: হলুদ প্রদাহ কমায়, ত্বকের বয়স ধীর করে।
এক্সফোলিয়েশন ও প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা: মৃত ত্বক দূর করে ত্বককে সতেজ করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব: ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
দাগ কমানো: ব্রণ বা দাগ কমাতে সহায়ক।
বেসনের ফেসপ্যাক
প্রাকৃতিক ক্লিনজার: মুখের ময়লা দূর করে এবং ছিদ্র পরিষ্কার করে।
ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বলতা: মুখকে তাৎক্ষণিকভাবে উজ্জ্বল ও তরতাজা করে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযোগী: অতিরিক্ত তেল শোষণ করে চেহারায় সতেজতা দেয়।
ব্রণ প্রতিরোধ: ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ব্রণ ও দাগ কমায়।
কোনটি ব্যবহার করবেন?
ইন্সট্যান্ট গ্লো চাইলে: বেসন ফেসপ্যাক উত্তম।
ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব চাইলে: হলুদ ফেসপ্যাক।
উভয় উপাদানই ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দিতে সাহায্য করে।
ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং দাগছোপ কমাতে মহিলারা ঘরোয়া ফেসপ্যাকের দিকে ঝুঁকছেন। হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল করে। বেসন মুখ পরিষ্কার করে, অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং তাৎক্ষণিক গ্লো দেয়। তবে ইন্সট্যান্ট উজ্জ্বলতার জন্য বেসন প্রায়শই বেশি ব্যবহৃত হয়।