শরতের শেষের দিকে বাজারে আসতে শুরু করে বাঙালির প্রিয় ফল কাস্টার্ড আপেল বা আতা। সুস্বাদু এই ফল শুধু খেতেই নয়, বরং স্বাস্থ্যরক্ষায়ও কার্যকর। আয়ুর্বেদিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের জন্য উপকারী। পেটের রোগ কমাতে, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এবং পেশির খিঁচুনি কমাতে আতা সাহায্য করে। তবে সব রোগীর জন্য এটি উপযুক্ত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু মানুষ ভুলেও আতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আতার পুষ্টিগুণ
ভিটামিন ও মিনারেল: ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার এবং ফাইবার সমৃদ্ধ।
হৃদরোগ ও ক্লান্তি কমানো: পটাশিয়াম শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং হার্ট সুস্থ রাখে।
পেশি ও আর্থ্রাইটিস উপকার: প্রাকৃতিক নিরাময়কারী বৈশিষ্ট্য পেশির খিঁচুনি ও আর্থ্রাইটিস কমাতে সাহায্য করে।
চোখের স্বাস্থ্য: আতা খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
কারা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন?
ডায়াবিটিস রোগী: আতার প্রাকৃতিক শর্করা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।
কিডনি রোগী: বেশি পটাশিয়াম কিডনির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
হাইপারটেনশন বা হার্ট সমস্যাযুক্ত: অতিরিক্ত আতার পটাশিয়াম ও সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
অ্যালার্জি প্রবণ মানুষ: আতার এলার্জি বা অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
শরতের প্রিয় ফল কাস্টার্ড আপেল বা আতা সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তবে সব মানুষের জন্য উপযুক্ত নয়। বিশেষ করে ডায়াবিটিস, কিডনি বা হাইপারটেনশন রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি।