উদয়পুরে সম্পত্তি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আনীসের উপর তাঁর ভাগ্নে ফারদিন গুলি চালিয়েছে। ফারদিন সম্প্রতি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিল। মামা-ভাগ্নের জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই হামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধানে তৎপর।
উদয়পুর: রাজস্থানের উদয়পুরের বিজয় সিং পথিক নগরে রবিবার রাতে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সম্পত্তি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আনীসের উপর তাঁরই ভাগ্নে ফারদিন ওরফে গাঞ্জা গুলি চালিয়েছে। রাত প্রায় ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে, এবং গুলি লাগার সাথে সাথেই আনীস আহত হয়ে পড়ে যান। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্ত ফারদিন ঘটনা ঘটানোর পর থেকে পলাতক এবং পুলিশ তার সন্ধানে তৎপর।
ভাগ্নে মামা আনীসের উপর গুলি চালিয়েছে
সূত্র অনুযায়ী, মোহাম্মদ আনীস বিজয় সিং পথিক নগরে অবস্থিত তাঁর বাসস্থানের কাছে ছিলেন, তখনই তাঁর ভাগ্নে ফারদিন পেছন থেকে তাঁর উপর গুলি চালায়। গুলি সরাসরি কোমরে লাগে এবং আনীস মাটিতে পড়ে যান। আশেপাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে আনীসের চিকিৎসা চলছে এবং ডাক্তাররা তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন।
ফারদিন সম্প্রতি আজমীরের হাই সিকিউরিটি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মারামারি, অবৈধ অস্ত্র রাখা এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যকলাপের একাধিক মামলা নথিভুক্ত আছে। এই ঘটনাটি এলাকায় আরও একবার ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে।
মামা-ভাগ্নের মধ্যে পুরনো বিবাদ
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে মামা ও ভাগ্নের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। মোহাম্মদ আনীস অনেক সম্পত্তি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছিলেন, যার উপর বিবাদের কারণে দুজনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এছাড়া, ফারদিনের অপরাধমূলক প্রবণতা এবং পূর্বের রেকর্ড পরিস্থিতি আরও গুরুতর করে তোলে।
পুলিশের মতে, আগেও দু'পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়া হয়েছে। রবিবার রাতেও এই বিবাদের কারণেই ফারদিন সুযোগ বুঝে পেছন থেকে গুলি চালায়। এই ঘটনা এলাকায় হঠাৎ করেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে।
পুলিশের পদক্ষেপ ও অভিযুক্তের সন্ধান
খবর পাওয়ার সাথে সাথেই সাবিণা থানা পুলিশ এবং স্থানীয় পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ফারদিনের গ্রেপ্তারের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সম্ভাব্য আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে এবং শহরের আশেপাশে তার খোঁজ চলছে।
ডিসি জানিয়েছেন যে মোহাম্মদ আনীসের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে হাসপাতাল এবং বাড়ির আশেপাশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার দাবি করছে।