এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে ছিল আর্থিক দায়দায়িত্ব
পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, অবসরোত্তর সুবিধা—এই সমস্ত আর্থিক কার্যক্রম এতদিন বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পরিচালিত হতো। শিক্ষকদের সুবিধে হত দ্রুত নিষ্পত্তিতে।বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে বিকাশ ভবন? এমনই আশঙ্কা রাজ্যের বহু স্টেট ইউনিভার্সিটির।
বিকাশ ভবনের নতুন নির্দেশিকায় উঠছে বিতর্কের ঝড়
উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের সংশ্লিষ্ট ডিরেক্টরেট এই কার্যভার নেবে। স্বশাসনের পরিপন্থী বলে ক্ষোভ।নির্দেশনায় স্পষ্ট: সাময়িক অনুমোদন বিশ্ববিদ্যালয়ের, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারেরবিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র সাময়িকভাবে পেনশন সুবিধা নির্ধারণ করতে পারবে, শেষ অনুমোদন দেবে অর্থ দফতর। এর ফলে দেরির আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
‘বেআইনি হস্তক্ষেপ’ বলে প্রতিবাদে সরব শিক্ষক মহল
জুটা-র পার্থপ্রতিম রায় বলছেন, এটি সরাসরি স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ। কেন্দ্রীয়করণ মানেই দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিশ্চয়তা।আগেও চেষ্টা হয়েছিল HRMS-এ কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের‘এইচআরএমএস’ প্রকল্পেও একই রকমের হস্তক্ষেপের চেষ্টা হয়েছিল। তখন প্রতিবাদের মুখে তা স্থগিত হয়। নতুন নির্দেশ আবার সেই বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশঙ্কা: অনিশ্চয়তা ও হেনস্থার ভয়
চূড়ান্ত বেনিফিট না পেলে অবসরের পর শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা হয়রানির শিকার হতে পারেন বলেই দাবি কুটা-র।ওয়েবকুপার দাবি: সিদ্ধান্ত স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিকওয়েবকুপার সেলিম বক্স মণ্ডল বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বাড়বে। অন্য দপ্তরেও তো এভাবেই কাজ হয়।বিকাশ ভবনের প্রতিক্রিয়া এখনও অধরাএই বিতর্কের মাঝে বিকাশ ভবন নিজে এখনও মুখ খোলেনি। ফলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—কেন এত দ্রুত এমন সিদ্ধান্ত?