ভবিষ্যতের জন্য আজ থেকেই তৈরি হোন, জীবন লক্ষ্য প্ল্যানেই মেলে নিশ্চিন্ত আশ্বাস পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা, ভবিষ্যতের সঞ্চয় এবং সন্তানের শিক্ষার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ প্রয়োজন, যেটা শুধু বিমা নয়, বরং একটি নিশ্চিত পন্থা। LIC-এর ‘জীবন লক্ষ্য’ পলিসি এমন এক পরিকল্পনা যা বাঁচতেও শেখায়, বাঁচিয়ে রাখতেও সাহায্য করে।
সঞ্চয় ও বিমার যুগলবন্দি, সন্তানদের ভবিষ্যতের নিশ্চিত ভরসা
‘জীবন লক্ষ্য’ প্ল্যান বিমার পাশাপাশি একটি সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট। কম প্রিমিয়ামে ভবিষ্যতের জন্য বড় ফান্ড তৈরি করা যায়, যা ভবিষ্যতে সন্তানের লেখাপড়া, বিয়ে বা অন্য আর্থিক প্রয়োজনেও কাজে লাগতে পারে। এলআইসির এই পলিসি একে অপরের পরিপূরক।
কম খরচে ভবিষ্যতের বড় নিশ্চয়তা, এক গানে দুই তীর
এই পলিসিতে খুব কম প্রিমিয়ামে পরিবারে আর্থিক স্থিতিশীলতা আনা যায়। একদিকে মৃত্যুর পর আর্থিক সহায়তা যেমন থাকে, তেমনই নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত চললে এককালীন বড় অঙ্কের টাকাও হাতে আসে।প্রতি বছর জমা দিন প্রিমিয়াম, পলিসি শেষে পান মোটা অঙ্কের রিটার্নএই স্কিমে পলিসির প্রিমিয়াম বার্ষিক জমা দিতে হয়। যেমনটা হয় R.D.-তে, তবে এখানে নিশ্চিত বীমা কভারও থাকে। পলিসির মেয়াদ শেষ হলে এককালীন রিটার্ন পান বিনিয়োগকারী।
বোনাসের সৌজন্যে ফান্ডের অঙ্ক হয়ে ওঠে বিশাল
পলিসির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য বার্ষিক বোনাস ও ফাইনাল অ্যাডিশনাল বোনাস। প্রতিবারের বোনাস সংযোজনের ফলে পলিসির শেষে জমে ওঠে বিশাল অঙ্কের টাকা, যা সাধারণ সঞ্চয় প্রকল্পের চেয়ে অনেক বেশি।মৃত্যুর পরেও পরিবারের পাশে, নোমিনিকে মেলে পূর্ণ সহায়তা পলিসি হোল্ডারের আকস্মিক মৃত্যু হলে Nominee পুরো সাম অ্যাসিওর্ডের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বোনাসও পান। আর পলিসি যদি সম্পূর্ণ মেয়াদে পৌঁছায়, তবে বিনিয়োগকারী নিজেই পান সেই পুরো অঙ্কের টাকাটি।
এক স্কিমে ডেথ বেনিফিট ও ম্যাচিউরিটি রিটার্ন—দু'য়েরই সুবিধা
LIC-এর ‘জীবন লক্ষ্য’ পলিসিতে বিমার সমস্ত নিয়ম কার্যকর। রয়েছে মৃত্যুকালীন আর্থিক সহায়তা, আবার সময়মতো পলিসি শেষ হলে পাওয়া যায় ম্যাচিউরিটি বেনিফিট। অর্থাৎ মৃত্যু কিংবা জীবন—দু’ক্ষেত্রেই সুরক্ষা।উদাহরণে পরিষ্কার ছবি: প্রতি বছর ২ লক্ষ টাকার বিনিয়োগে বিশাল রিটার্ন ধরুন, কেউ এই পলিসিতে প্রতি বছর ₹২ লক্ষ বিনিয়োগ করছেন। এই প্ল্যানের মেয়াদ ২৫ বছর, তবে প্রিমিয়াম দিতে হবে ২২ বছর পর্যন্ত। এই পরিকল্পনায় সময়মতো পরিশোধ করলে বিশাল রিটার্ন পাওয়া যায়।
২৫ বছরে ৫০ লক্ষ টাকার নিশ্চয়তা, সাধারণ পদ্ধতিতে হয় না সম্ভব
২২ বছর ধরে প্রতি বছর ₹২ লক্ষ দিলে মোট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ₹৪৪ লক্ষ। কিন্তু ২৫ বছর পরে ওই বিনিয়োগ থেকে পাওয়া যাবে ₹৫০ লক্ষ বা তারও বেশি, যেটা সাধারণ FD বা RD প্ল্যানে সম্ভব নয়।বার্ষিক ও অতিরিক্ত বোনাসই এই প্ল্যানের মূল পাথেয়পলিসির দুটি স্তম্ভ—Yearly Bonus এবং Final Additional Bonus। যেমন LIC প্রতি বছর ₹১,০০০ সাম অ্যাসিওর্ডের ওপর ₹৫০–৬০ টাকা বোনাস দেয়। অর্থাৎ এই অতিরিক্ত আয় সময়ের সঙ্গে ফান্ডকে বড় করতে সাহায্য করে।
প্রিমিয়াম দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত, পলিসি মেয়াদ আলাদা
পলিসির টার্ম সাধারণত ১৩ থেকে ২৫ বছর। তবে, প্রিমিয়াম ভরতে হয় মেয়াদের কয়েক বছর আগে পর্যন্ত, যেমন ২৫ বছরের পলিসিতে ২২ বছর প্রিমিয়াম দিতে হবে। এতে বিনিয়োগের বোঝা কমে আসে।পরিসংখ্যান বলছে—বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভই লাভ অঙ্কের হিসাবে ২২ বছরে ₹৪৪ লক্ষ বিনিয়োগ করলে, বোনাস ও ফাইনাল রিটার্ন মিলিয়ে প্রায় ₹৫৫ লক্ষ পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব। অর্থাৎ প্রায় ₹১১ লক্ষ বাড়তি আয়। নিঃসন্দেহে এটি একটি ব্যতিক্রমী পলিসি।সব শেষে—এক নজরে টাকার হিসেব, যা চমকে দেবেসমাপ্তির সময়ে আপনি পেতে পারেন ₹২০ লক্ষ (Sum Assured) + ₹২৫ লক্ষ (Bonus) + ₹১০ লক্ষ (Final Bonus) = মোট ₹৫৫ লক্ষ টাকা। এই অঙ্কই বলে দিচ্ছে LIC ‘জীবন লক্ষ্য’ সত্যিই ভবিষ্যতের লক্ষ্যপূরণের পথ।
