নয়া দিল্লি: পাকিস্তানকে ২০৩০ সালের মধ্যে অত্যাধুনিক এয়ার টু এয়ার মিসাইল দেওয়ার খবর সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়। তবে শুক্রবার মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানকে AIM-120 এয়ার টু এয়ার মিসাইল বিক্রির অনুমোদন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত মাসে বিদেশি সামরিক যন্ত্রাংশ বিক্রয় সংক্রান্ত কিছু চুক্তি ঘোষিত হয়েছিল, যা থেকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের এই ব্যাখ্যা আন্তর্জাতিক চাপানউতোরের মধ্যে বিভ্রান্তি কাটাতে সাহায্য করেছে।
জল্পনা ও আন্তর্জাতিক চাপানউতোর
বিগত কয়েকদিন ধরেই খবর ছড়াচ্ছিল, পাকিস্তান আমেরিকা থেকে AIM-120 AMRAAM মিসাইল পেতে পারে। এই মিসাইল ফ্রন্টলাইন এফ-১৬ যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত হয় এবং মধ্যপল্লার হামলার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। খবর প্রকাশের পরই আন্তর্জাতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়।
মার্কিন দূতাবাসের স্পষ্ট ব্যাখ্যা
শুক্রবার ভারতে থাকা মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে জানানো হয়, পাকিস্তানকে নতুন AIM-120D-3 মিসাইল দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। পাশাপাশি পাকিস্তানের বর্তমান সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির কোনও আলোচনা হয়নি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পূর্বে ঘোষণা করা চুক্তির কিছু অংশে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, যা এই বিভ্রান্তির উৎস হতে পারে।
পূর্ববর্তী চুক্তি ও সামরিক যোগান
সূত্রের খবর, ২০১০ সালে পাকিস্তান আমেরিকা থেকে ৫২টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং AIM-120C-5 মিসাইল কিনেছিল। তবে নতুন উন্নত মানের মিসাইল সরবরাহের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মার্কিন প্রশাসনের ব্যাখ্যা এই ভুল খবরের শেষ ধরেছে।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব
এই সংবাদ আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও পাকিস্তান-আমেরিকা সম্পর্কের ওপর চাপ তৈরি করেছিল। মার্কিন দূতাবাসের স্পষ্টীকরণ কূটনৈতিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে বিভ্রান্তি দূর করেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা সম্পর্কিত পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়েছে।
পাকিস্তান-আমেরিকার নতুন মিসাইল চুক্তি নিয়ে চলছিল জল্পনা। শুক্রবার মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানকে AIM-120 এয়ার টু এয়ার মিসাইল দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক মহলে চলমান চাপানউতোরের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করেছে।