উত্তর প্রদেশ সরকার বাসমতি চালের গুণমান নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বাড়াতে ১১টি কীটনাশকের ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে। এর আগে পাঞ্জাবও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ইউরোপ, আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের মতো দেশগুলির কঠোর মানদণ্ড মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইউপি নিউজ: উত্তর প্রদেশ সরকার বাসমতি চাল চাষে ব্যবহৃত ১১টি কীটনাশকের ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে। রাজ্যটিতে গুণমান নিশ্চিত করার এবং ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের আন্তর্জাতিক বাজারগুলিতে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে পাঞ্জাব সরকারও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যোগী সরকার জানিয়েছে যে কীটনাশকের ব্যবহার ফসলের উপর প্রভাব ফেলে এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী এটি নিষিদ্ধ করা অপরিহার্য।
বাসমতি চাষে ১১টি কীটনাশক নিষিদ্ধ করল উত্তর প্রদেশ সরকার
উত্তর প্রদেশ সরকার বাসমতি চালের গুণমান নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর জন্য ১১টি কীটনাশকের ক্রয়-বিক্রয় এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। বিশেষ সচিব ওম প্রকাশ ভার্মা ১৭ আগস্ট এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন।
সরকারের প্রচেষ্টা হলো রাজ্যের ৩০টি জেলায় বাসমতি চাষে এই নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কৃষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা যেন এই কীটনাশকগুলি ব্যবহার না করে, যাতে ফসল আন্তর্জাতিক গুণমান মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।
কোন ১১টি কীটনাশকে নিষেধাজ্ঞা
বাসমতি ধানকে কীটনাশকের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকার যে ১১টি কীটনাশকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তার মধ্যে রয়েছে ট্রাইসাইক্লাজোল, বুপ্রোফেজিন, এসিফেট, ক্লোরপাইরিফস, টেবুকোনজোল, প্রোপিকোনাজোল, থায়ামেথোক্সাম, প্রফেনোফস, ইমিডাক্লোপ্রিড, কার্বেন্ডাজিম এবং কার্বোফুরান।
এর আগে পাঞ্জাব সরকারও এই কীটনাশকগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পাঞ্জাবের তালিকায় হেক্সাকোনাজল নামক একটি কীটনাশকও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হল বাসমতি চালকে নিরাপদ রাখা এবং আন্তর্জাতিক বাজারগুলিতে গুণমান মানদণ্ড অনুযায়ী রপ্তানি নিশ্চিত করা।
বাসমতি রপ্তানির জন্য আন্তর্জাতিক মান কার্যকর
এপিইডিএ (APEDA) উত্তর প্রদেশ সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে যে বাসমতি চালের রপ্তানিতে কোনও ধরনের বাধা বা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে এই পদক্ষেপ অপরিহার্য। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং আমেরিকার মতো দেশগুলি বাসমতি চাল রপ্তানির জন্য কীটনাশকের সর্বোচ্চ মাত্রা (MRLs) নির্ধারণ করেছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে নিশ্চিত হবে যে উত্তর প্রদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া বাসমতি চাল এই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং কৃষকরা বিশ্ব বাজারে সুযোগ পেতে থাকবেন।
কৃষকদের জন্য নির্দেশিকা
সরকার কৃষকদের এই সময়ে তালিকাভুক্ত ১১টি কীটনাশক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়াও, রাজ্য কৃষি বিভাগ এই জেলাগুলিতে নিয়মিত পরিদর্শন করবে এবং নিষেধাজ্ঞাগুলি সঠিকভাবে পালিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করবে।
কৃষকদের জন্য এই পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদে ফসলের গুণমান এবং আন্তর্জাতিক বিক্রি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এছাড়াও, এটি ভারতের বাসমতি চালের ব্র্যান্ড ভ্যালুকেও শক্তিশালী করবে।