উত্তর প্রদেশে সরকারি কর্মীদের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহ ঋণ: বিস্তারিত জানুন

উত্তর প্রদেশে সরকারি কর্মীদের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহ ঋণ: বিস্তারিত জানুন

উত্তর প্রদেশ সরকার সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি বড় স্বস্তি ঘোষণা করেছে। এখন তারা ৭.৫% সুদের হারে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহ ঋণ নিতে পারবেন। এই সুবিধা শুধুমাত্র তারাই পাবেন যারা কমপক্ষে পাঁচ বছর চাকরি করেছেন। এছাড়াও, বাড়ি মেরামতের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে।

উত্তর প্রদেশ: রাজ্য সরকার রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীকে স্বস্তি দিয়ে গৃহ ঋণের সীমা ৭.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লক্ষ টাকা করেছে। মুদ্রাস্ফীতি এবং নির্মাণ খরচ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন সরকারি কর্মচারীরা তাদের স্বপ্নের বাড়ি তৈরি বা কেনার জন্য বেশি পরিমাণ অর্থ সুবিধা নিতে পারবেন, তাও আবার ছাড়যুক্ত সুদের হারে।

কারা আবেদন করতে পারবেন?

উত্তর প্রদেশ সরকার কর্তৃক জারি করা এই নতুন প্রকল্পের অধীনে, সেই কর্মচারীরাই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবেন যারা কমপক্ষে ৫ বছরের নিয়মিত চাকরি পূর্ণ করেছেন। এই প্রকল্প রাজ্য সরকারের সকল স্থায়ী কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য, যাদের চাকরির রেকর্ড সন্তোষজনক। এই পদক্ষেপটি কেবল কর্মচারীদের জন্য অর্থনৈতিক স্বস্তি নিয়ে আসেনি, বরং তাদের মনোবল এবং স্থিতিশীলতাকেও শক্তিশালী করবে।

কত টাকা ঋণ পাওয়া যাবে?

সরকারি নির্দেশ অনুসারে, ঋণের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য তিনটি মানদণ্ড অনুসরণ করা হবে, যার মধ্যে যেটি সর্বনিম্ন হবে, সেটিই চূড়ান্তভাবে গ্রাহ্য করা হবে:

  • কর্মচারীর ৩৪ মাসের মূল বেতনের মোট যোগফল।
  • সর্বোচ্চ সীমা ২৫ লক্ষ টাকা।
  • বাড়ির প্রকৃত ক্রয়/নির্মাণ খরচ।

এই তিনটির মধ্যে যে রাশিটি সর্বনিম্ন হবে, সেই পরিমাণ অর্থই ঋণ হিসেবে মঞ্জুর করা হবে।

সুদের হার কত এবং কত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে?

সরকারের পক্ষ থেকে এই ঋণ ৭.৫ শতাংশ সুদের হারে পাওয়া যাবে, যা বাজারের তুলনায় যথেষ্ট ছাড়যুক্ত। এই ঋণ সর্বোচ্চ ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করা যাবে। এর উদ্দেশ্য হল কর্মচারীদের মাসিক কিস্তির অতিরিক্ত বোঝা যাতে না হয় এবং তারা অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারেন।

যে ভবনের জন্য ঋণ নেওয়া হবে, তার মোট মূল্য কর্মচারীর মূল বেতনের ১৩৯ গুণ বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা হতে পারে। এছাড়াও, এই মূল্যের উপর ২৪ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত বৃদ্ধির অনুমতি থাকবে, যার ফলে কর্মচারীরা তুলনামূলকভাবে বড় এবং ভালো বাড়ি কিনতে পারবেন।

মেরামত ও সম্প্রসারণের জন্যও সুবিধা পাওয়া যাবে

নতুন প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র নতুন ভবন নির্মাণ বা কেনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং আগে থেকে থাকা ভবনের মেরামত ও সম্প্রসারণের জন্যও ঋণের সুবিধা দেওয়া হবে। এই উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে, যা সুদসহ ১০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

যদি কোনও কর্মচারীর আগে থেকে সরকারি আবাসন ঋণ বকেয়া থাকে, তবে তাকে প্রথমে পুরনো ঋণের সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে, তবেই তিনি নতুন ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও, নতুন ঋণ পাওয়ার পরে কর্মচারীকে ভবনের নিবন্ধন, বীমা এবং অন্যান্য আইনি আনুষ্ঠানিকতা সময় মতো সম্পন্ন করতে হবে।

কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?

অর্থ বিভাগের মতে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, জমি এবং নির্মাণ সামগ্রীর দাম দ্রুত বৃদ্ধির কারণে আগের ঋণের সীমা খুবই কম ছিল। এর ফলে কর্মচারীদের উপযুক্ত বাড়ি কিনতে অসুবিধা হত। ফলস্বরূপ, তারা বেসরকারি ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদের হারে ঋণ নিতে বাধ্য হতেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে তাদের অর্থনৈতিক বোঝা কমবে এবং তারা সঠিক হারে তাদের নিজের বাড়ির স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন।

Leave a comment