উত্তর প্রদেশের রামপুরে এক মহিলা পঞ্চায়েতের সামনে অদ্ভুত শর্ত রাখলেন যে তিনি ১৫ দিন স্বামীর সঙ্গে এবং ১৫ দিন প্রেমিকের সঙ্গে থাকবেন। স্ত্রীর এই দাবিতে লোকজন হতবাক হয়ে যায় এবং স্বামী হার মানেন।
Rampur: উত্তর প্রদেশের রামপুর জেলা থেকে একটি আজব ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে এক বিবাহিতা মহিলা পঞ্চায়েতের সামনে এমন একটি শর্ত রেখেছেন যা শুনে সবাই হতবাক। মহিলা প্রকাশ্যে বলেন যে তিনি মাসে ১৫ দিন স্বামীর সঙ্গে এবং ১৫ দিন প্রেমিকের সঙ্গে কাটাতে চান। এই প্রস্তাবে কেবল স্বামী নন, পঞ্চায়েতে উপস্থিত লোকেরাও হতবাক হয়ে যান।
এই ঘটনাটি আজিম নগর থানা এলাকার। বিবাহিতা মহিলার বিয়ে প্রায় দেড় বছর আগে প্রতিবেশী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে হয়েছিল, কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর টাণ্ডা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়।
স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের কাছে চলে যান
জানা যায়, বিবাহিতা মহিলার বিয়ে প্রায় দেড় বছর আগে প্রতিবেশী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে হয়েছিল। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর সম্পর্ক টাণ্ডা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে গড়ে ওঠে। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা এতটাই বাড়ে যে তিনি বহুবার তাঁর স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের কাছে চলে যান।
গ্রামের লোকজন এবং পঞ্চায়েত অনেকবার তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে স্বামীর ঘরে ফেরত পাঠায়, কিন্তু প্রেমের সম্পর্ক এত গভীর হয়ে গিয়েছিল যে মহিলা বারবার প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতেন।
এক বছরে ১০ বার পালিয়েছেন স্ত্রী
গত এক বছরে মহিলা মোট ১০ বার তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন। প্রতিবার পঞ্চায়েত এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যদিও, তিনি আবারও বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন।
আট দিন আগে মহিলা আবারও বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং পুলিশ মহিলাকে প্রেমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে স্বামীকে सौंपে। কিন্তু এইবারেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। মহিলা কেবল এক রাত স্বামীর ঘরে ছিলেন এবং পরের দিন সকালে আবার প্রেমিকের কাছে ফিরে যান।
পঞ্চায়েতে স্ত্রীর বড় শর্ত
যখন স্বামী তাঁর স্ত্রীকে বোঝাতে প্রেমিকের বাড়ি পৌঁছন, তখন সেখানে পঞ্চায়েত ডাকা হয়। পঞ্চায়েতে স্বামী স্ত্রীকে আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন যে তিনি যেন বাড়ি ফিরে পরিবারের সম্মান বাঁচান।
কিন্তু স্ত্রী সবাইকে অবাক করে দেন। তিনি খুলে বলেন যে তিনি দুটি সম্পর্ক ভাঙার বদলে "১৫-১৫ দিনের ভাগ" চান। অর্থাৎ মাসের অর্ধেক দিন স্বামীর সঙ্গে এবং অর্ধেক দিন প্রেমিকের সঙ্গে কাটানোই ছিল তাঁর প্রস্তাব।
পঞ্চায়েত এই অদ্ভুত শর্ত শুনে হতবাক হয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত লোকেরা বুঝতে পারছিলেন না যে মহিলার এই দাবির সমাধান কীভাবে করা যায়।
স্ত্রীর শর্তে স্বামীর সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান
স্ত্রীর শর্ত শোনার পর স্বামী সবার সামনে হাত জোড় করেন। তিনি বলেন, "আমাকে ক্ষমা করো, এখন তুমি তোমার প্রেমিকের সঙ্গেই থাকো।" স্বামী স্পষ্ট করে দেন যে তিনি এই ধরনের সম্পর্ক মেনে নিতে পারবেন না।
গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি ও পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, তাঁরা তাঁদের জীবনে এমন ঘটনা কখনও দেখেননি। সাধারণত পঞ্চায়েত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয় সমঝোতা করায়, না হয় বিচ্ছেদের পথ বার করে। কিন্তু "১৫-১৫ দিনের ফর্মুলা" সবার জন্য একেবারে নতুন এবং অবাক করার মতো।