উত্তরাখণ্ড পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতুন নিয়ম: একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন

উত্তরাখণ্ড পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতুন নিয়ম: একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন

ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার ২৫ জুলাই, ২০১৯ এর আগে যাদের দুইয়ের বেশি জীবিত সন্তান রয়েছে, তারাও নির্বাচন লড়তে পারবেন। এর আওতায় নির্বাচন লড়তে ইচ্ছুক প্রার্থীদের যোগ্যতা এবং পারিবারিক পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত (মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি-র নেতৃত্বে) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়কালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল উত্তরাখণ্ড পঞ্চায়েতিরাজ (সংশোধন) বিল ২০২৫ বিধানসভায় পেশ করার অনুমোদন। এই বিলটি রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং সংরক্ষণ নীতিতে পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত।

বিল ২০২৫: পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতুন নিয়ম

উত্তরাখণ্ড সরকার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ২৫ জুলাই, ২০১৯ এর আগে যে সকল ব্যক্তির দুইয়ের বেশি জীবিত সন্তান রয়েছে, তারা এখন নির্বাচন লড়তে পারবেন। এর আগে, বেশি সন্তান থাকা প্রার্থীদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হতো। এছাড়াও, বিলটিতে ওবিসি সংরক্ষণ (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী) প্রয়োগের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যে একক সদস্যের ডেডিকেটেড কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই সংরক্ষণ এখন পঞ্চায়েতগুলিতে আঞ্চলিক জনসংখ্যার অনুপাতে প্রয়োগ করা হবে।

ক্যাবিনেট বৈঠকে গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্ত

ক্যাবিনেট বৈঠকে বিলটি অনুমোদন ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে:

  • অর্ডিন্যান্স থেকে বিল পর্যন্ত: অর্ডিন্যান্স জারি হওয়ার পরে এখন এটি বিধানসভার বাদল অধিবেশনে পেশ করা হবে, যার মাধ্যমে এটিকে আইনগতভাবে প্রয়োগ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
  • ওবিসি সংরক্ষণের প্রসার: পঞ্চায়েত স্তরে ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় এখন আঞ্চলিক জনসংখ্যা অনুযায়ী সংরক্ষণের গণনা করা হবে। এতে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
  • পঞ্চায়েতিরাজে স্বচ্ছতা এবং উন্নতি: বিলের মাধ্যমে পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্বচ্ছতা বাড়ানো এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিিলের গুরুত্ব

উত্তরাখণ্ড পঞ্চায়েতিরাজ (সংশোধন) বিল ২০২৫ রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিলটি কার্যকর হওয়ার ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে:

  • দুইয়ের বেশি সন্তান থাকা যোগ্য প্রার্থীরাও নির্বাচন লড়ার অধিকার পাবেন।
  • পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত হবে, যা আঞ্চলিক জনসংখ্যার ভিত্তিতে হবে।
  • পঞ্চায়েতগুলিতে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন আরও ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছভাবে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি বলেছেন যে, সরকারের উদ্দেশ্য হল পঞ্চায়েতিরাজ প্রতিষ্ঠানগুলিতে জনপ্রতিনিধিত্বকে শক্তিশালী করা এবং গ্রামীণ স্তরে গণতন্ত্রকে উৎসাহিত করা। তিনি আরও বলেন যে, ওবিসি সংরক্ষণের মাধ্যমে পঞ্চায়েতগুলিতে সকল শ্রেণীর সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।

Leave a comment