উত্তরপ্রদেশে অবৈধ ধর্মান্তকরণ চক্র: ISI যোগ এবং সরকারি আধিকারিকদের জড়িত থাকার প্রমাণ

উত্তরপ্রদেশে অবৈধ ধর্মান্তকরণ চক্র: ISI যোগ এবং সরকারি আধিকারিকদের জড়িত থাকার প্রমাণ

উত্তরপ্রদেশ এ টি এস (ATS)-এর অবৈধ ধর্মান্তকরণ চক্রের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ। তদন্তে চার সরকারি আধিকারিকের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। চক্রটির নেটওয়ার্ক বহু রাজ্যে বিস্তৃত ছিল এবং ISI-এর সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণও পাওয়া গেছে।

Changur Action: উত্তরপ্রদেশ এ টি এস (ATS) অবৈধ ধর্মান্তকরণ চক্রের মূল হোতা ছাঙ্গুর ওরফে জালালউদ্দিন এবং তার সহযোগী নীতু ওরফে নাসরিনের বিরুদ্ধে তদন্ত জোরদার করেছে। দু’জনকেই এ টি এস (ATS) ১০ জুলাই রিমান্ডে নিয়েছিল এবং বর্তমানে রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এ টি এস (ATS) আজ দু’জনকেই লখনউ-এর আদালতে পেশ করে পুনরায় রিমান্ড বাড়ানোর আবেদন জানাবে।

চার আধিকারিকের ভূমিকা সামনে এসেছে

তদন্তে প্রকাশ হয়েছে যে ছাঙ্গুরের নেটওয়ার্ক বিস্তারে চার সরকারি আধিকারিকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এদের মধ্যে একজন এ ডি এম (ADM), দু’জন সি ও (CO) এবং একজন ইন্সপেক্টর রয়েছেন, যারা ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বালরামপুরে কর্মরত ছিলেন। তদন্তকারী সংস্থা এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এমন প্রমাণ পেয়েছে যা প্রমাণ করে যে এই আধিকারিকরা ছাঙ্গুরের নির্দেশে কাজ করতেন। এখন এ টি এস (ATS) এদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

ধর্মান্তকরণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল অনুসারীদের বাহিনী

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গেছে যে ছাঙ্গুর সারা দেশে ধর্মান্তকরণ ছড়ানোর কাজ করত। সে প্রায় ৩০০০ অনুসারীর একটি বাহিনী তৈরি করেছিল, যারা বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় ছিল। তাদের কাজ ছিল হিন্দু নাম ব্যবহার করে যুবতীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলা এবং পরে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ সৃষ্টি করা।

চক্রটির নেটওয়ার্ক বহু রাজ্যে বিস্তৃত

ছাঙ্গুরের এই নেটওয়ার্ক উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই চক্রের সদস্যরা সাধারণ নাগরিকদের মতো সমাজে মিশে কাজ করত এবং তারপর তাদের টার্গেটের তথ্য সংগ্রহ করে ছাঙ্গুরের কাছে পাঠাতো।

ছেলে মেহবুবকে দেওয়া হয়েছিল দায়িত্ব

ছাঙ্গুর ধর্মান্তকরণ অভিযানের দায়িত্ব নিজের ছেলে মেহবুবকে দিয়েছিল। মেহবুব এই পুরো অভিযানের নেতা ছিল এবং সমস্ত গতিবিধির উপর নজর রাখত। অন্যদিকে, অন্য একজন সদস্য নবীনকে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। চক্রের একটি দল শুধুমাত্র হিন্দু যুবতীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কাজ করত।

ISI-এর সঙ্গে যোগাযোগের দাবি

সবচেয়ে গুরুতর দিক হল, তদন্তে ছাঙ্গুর চক্রের পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। জানা গেছে, চক্রটি নেপালে বসে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করত এবং সেখান থেকেই ISI-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল।

পরিকল্পিত কৌশল নিয়ে কাজ করছিল চক্রটি

এ টি এস (ATS)-এর হাতে আসা প্রমাণ অনুযায়ী, এই চক্রটি সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করত। প্রতিটি সদস্যকে একটি নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হয়েছিল। কেউ প্রযুক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করত, কেউ টার্গেটের উপর নজর রাখত, আবার কেউ ধর্ম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করত। চক্রটির উদ্দেশ্য ছিল সারা দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং সামাজিক কাঠামোকে দুর্বল করা।

সরকারি কাঠামোয় সাহায্য মিলেছিল

তদন্তে আরও স্পষ্ট হয়েছে যে ছাঙ্গুর সরকারি কাঠামোর কিছু লোকের কাছ থেকেও সহযোগিতা পেয়েছিল। বালরামপুরে কর্মরত চার আধিকারিক এই অভিযানকে শুধু উপেক্ষা করেননি, বরং বহুবার ছাঙ্গুরকে সাহায্যও করেছেন। এর ফলে বিষয়টি আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে।

Leave a comment