বারাণসীর নবরাত্রিতে মহিষাসুরমর্দিনী: শক্তি, ঐক্য ও প্রতিরোধের প্রতীক

বারাণসীর নবরাত্রিতে মহিষাসুরমর্দিনী: শক্তি, ঐক্য ও প্রতিরোধের প্রতীক

বারাণসী, উত্তরপ্রদেশ: নবরাত্রির সময় বারাণসীর গলিগুলো মা দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপের স্তুতিগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। এই অবতার কেবল দেবীর শক্তির প্রতীক নয়, বরং জাতীয় ঐক্য ও সম্মিলিত সংগ্রামের গল্পও বলে।

প্রতীক, কাহিনি এবং গুরুত্ব

মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেবী নিজের অস্ত্র দ্বারা মহিষাসুরের সংহার করেন — এই ঝলক শক্তি, বীরত্ব এবং সম্মিলিত রূপের প্রতিনিধিত্ব করে। শাস্ত্রগুলিতে, বিশেষত মার্কণ্ডেয় পুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে যে যখন একা দেবতাদের পক্ষে রাক্ষসদের বধ করা সম্ভব ছিল না, তখন সমন্বিত শক্তি স্বরূপা দেবীর সৃষ্টি করা হয়েছিল। বিষ্ণু চক্র, শিব ত্রিশূল, অন্যান্য দেবতারা ধনুর্বাণ, খড়্গ ইত্যাদি প্রদান করেন — এই আয়ুধগুলির শক্তি একত্রিত হয়ে দেবী মহিষাসুরকে বধ করেন। বারাণসীতে অষ্টম থেকে চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যেকার ১০টিরও বেশি মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি আজও বিদ্যমান, যা এই আন্দোলন এবং শ্রদ্ধার ধারাবাহিকতা নির্দেশ করে।

আধুনিক পরিপ্রেক্ষিতে বার্তা

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রূপ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে চ্যালেঞ্জ বা আক্রমণগুলির মোকাবিলা সম্মিলিত শক্তি, ঐক্য এবং দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।

Leave a comment