স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, Uric Acid Control Tips: শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে হাড়-জয়েন্ট ও কিডনিতে। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় হাইপারইউরিসেমিয়া। দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে না রাখলে গেঁটে বাত, প্রদাহ এমনকি কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এই অবস্থায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় সঠিক সবজি অন্তর্ভুক্ত করাই শ্রেয়। পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা জানাচ্ছেন, রোজের খাবারে মাত্র পাঁচটি বিশেষ সবজি রাখলে এক মাসের মধ্যেই কমবে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ।

শসা: প্রাকৃতিক ডিটক্সে ইউরিক অ্যাসিড ছেঁকে বার করে
প্রায় ৯৯% জলসমৃদ্ধ শসা শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে, প্রদাহ কমায় এবং কিডনির কাজের দক্ষতা বাড়ায়।গবেষণায় দেখা গেছে, শসা রক্তপ্রবাহে ইউরিক অ্যাসিড পাতলা করতে সাহায্য করে, ফলে কিডনি পাথর গঠনের আশঙ্কা কমে। সালাদে কাঁচা হোক বা রস আকারে, শসা শরীরের ডিটক্স পথকে শক্তিশালী করে।

গাজর: এনজাইম সক্রিয় করে শরীরের বিপাক বাড়ায়
গাজরে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বিপাক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে ও কিডনিকে মজবুত করে। এতে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড সহজে বেরিয়ে যায়।গাজরের প্রদাহ-বিরোধী গুণ গেঁটে বাতের ব্যথা ও ফোলাভাব কমায়। প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের রস বা স্যালাডে কাঁচা গাজর খাওয়া ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রাকৃতিক উপায়।

টমেটো: শরীরের অ্যাসিডকে নিরপেক্ষ করে রাখে
টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি ও লাইকোপিন, যা শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে।এই সবজি হালকা ক্ষারীয় প্রকৃতির, যা প্রদাহ কমায় এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে। নিয়মিত খাবারে টমেটো রাখলে শরীরের ডিটক্স সিস্টেম সক্রিয় হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।

করলা: বিষাক্ত বর্জ্য দূর করে কিডনি ও লিভারকে শক্তিশালী করে
করলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন, যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে। করলার রস কিডনি ও লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ফলে শরীর সহজেই টক্সিন বের করে দিতে পারে।পাশাপাশি করলার প্রদাহ-বিরোধী গুণ জয়েন্টের ব্যথা কমায় ও ফোলাভাব হ্রাস করে। নিয়মিত করলার রস বা তরকারি খাওয়ার অভ্যাস ইউরিক অ্যাসিড হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বেল পেপার: ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
বেল পেপার শরীরের ইউরিক অ্যাসিড প্রক্রিয়াজাতকরণে সাহায্য করে। এর পুষ্টি উপাদান শরীরের ডিটক্স প্রক্রিয়া উন্নত করে ও প্রদাহ কমায়।গেঁটে বাত বা জয়েন্ট ব্যথায় আক্রান্তদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী। রান্না করা বেল মরিচ নিয়মিত খাবারে রাখলে শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

ডায়েটের সঠিক পছন্দেই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরার মতে, মাত্র ৫টি সাধারণ সবজি—শসা, গাজর, টমেটো, করলা এবং বেল পেপার—নিয়মিত খেলে এক মাসেই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানো যায়। এগুলি শরীরের ডিটক্স প্রক্রিয়া বাড়িয়ে কিডনিকে শক্তিশালী করে ও জয়েন্ট ব্যথা কমায়।
                                                                        
                                                                            
                                                











