উপরাষ্ট্রপতির আকস্মিক পদত্যাগ: রাজনৈতিক মহলে জল্পনা

উপরাষ্ট্রপতির আকস্মিক পদত্যাগ: রাজনৈতিক মহলে জল্পনা

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় হঠাৎ করে পদত্যাগ করে দেশের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখালেও রাজনৈতিক মহলে এটিকে বিরোধীদের আনা অভিশংসন প্রস্তাব, তাদের কৌশল এবং বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে যোগ করে দেখা হচ্ছে।

Jagdeep Dhankar: দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য বাড়িয়েছে। স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে এই ইস্তফা নিছক আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুতর প্রশ্ন তৈরি করছে। ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও শাসক দল বা স্বয়ং ধনখড় কেউই এই বিষয়ে কোনো স্পষ্টীকরণ দেননি। এমন পরিস্থিতিতে, এটিকে শুধুমাত্র সাংবিধানিক পদ থেকে সরে যাওয়া নয়, বরং একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক চিত্রনাট্যের অংশ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

অভিশংসন প্রস্তাব কি টার্নিং পয়েন্ট?

২১ জুলাই রাজ্যসভায় উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অভিশংসন প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এই নোটিশটি বিরোধী দলের ৬০ জনের বেশি সাংসদ দ্বারা দেওয়া হয়েছিল এবং এতে শাসক দলের কোনো ভূমিকা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে যে, শাসক দলকে পাশ কাটিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কি দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে?

হঠাৎ বৈঠকের রাজনীতি

২২ জুলাই সন্ধ্যায় উপরাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের পর সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে वरिष्ठ মন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। সকল রাজ্যসভা সাংসদদের ১০-১০ জনের समूहে স্বাক্ষর করানো হয় এবং তাদের मीडियाতে কোনো কথা বলতে নিষেধ করা হয়। এই ঘটনা পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করে যে मामला শুধু 'स्वास्थ्य' পর্যন্ত सीमित नहीं है।

বিরোধীপক্ষের রাজনৈতিক ভাষা

ধনখড়ের পদত্যাগকে রাজনৈতিক সমীকরণের সঙ্গে জুড়ে বিরোধীরা একের পর এক প্রশ্ন তুলেছেন। মমতা ব্যানার্জি, গৌরব গগৈ, অখিলেশ যাদব এবং তেজস্বী যাদব এটিকে 'রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা' এবং 'চাপের রাজনীতি' বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ধনখড় যদি সত্যি অসুস্থ হতেন, তাহলে বিজেপি নিজেই তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিত।

নতুন দায়িত্ব, নতুন জট

এখন রাজ্যসভার দায়িত্ব উপ-সভাপতি হরিবংশের হাতে। বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবের পরবর্তী পদক্ষেপ তাঁকে নির্ধারণ করতে হবে। একই সাথে, ২৪ জুলাই কার্য মন্ত্রণা কমিটির বৈঠকে 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা, যা পরিস্থিতিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।

কবে হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

রাষ্ট্রপতি ২২ জুলাই দুপুর ১২টায় ধনখড়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। এরপর গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। এখন উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

১০টি বড় প্রশ্ন যা এই পদত্যাগের পর উঠেছে

  1. ধনখড়ের কাছ থেকে ইস্তফা নেওয়া হয়েছে নাকি তিনি নিজেই দিয়েছেন?
  2. তাঁকে কি বিরোধীদের জালে फँसा दिया गया?
  3. অভিশংসন প্রস্তাব গ্রহণ করাই কি ভুল প্রমাণিত হল?
  4. আমেরিকা সফর और उस दौरान की गतिविधियां मुद्दा बनीं?
  5. কৃষক আন্দোলনে কৃষি মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করাই কি भारी पड़ा?
  6. ধনখড়ের বেশি কথা বলার অভ্যাস কি पार्टी असहज हो गई?
  7. তাঁর বিরুদ্ধে কি অনাস্থা প্রস্তাব আনা হচ্ছিল?
  8. এটা কি বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পরিবর্তনের संकेत है?
  9. বিহার और 2029 की रणनीति इसके पीछे है?
  10. न्यायपालिका और धनखड़ के रिश्तों में आई खटास इसकी वजह बनी?

Leave a comment