বিক্রম সোলার আইপিও: শেয়ার প্রতি দাম ৩১৫-৩৩২ টাকা, জানুন বিস্তারিত

বিক্রম সোলার আইপিও: শেয়ার প্রতি দাম ৩১৫-৩৩২ টাকা, জানুন বিস্তারিত

বিক্রম সোলার, ভারতের প্রধান সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারক সংস্থা, এর আইপিও ৩১৫-৩৩২ টাকা প্রতি শেয়ারের প্রাইস ব্যান্ডে খুলে গিয়েছে। এই প্রস্তাব ২১শে অগাস্ট পর্যন্ত জারি থাকবে। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানি ₹১,৫০০ কোটি টাকার ফ্রেশ ক্যাপিটাল তুলে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে এবং ক্লিন এনার্জি সেক্টরে বিকাশ করবে। আনুমানিক মার্কেট ক্যাপ ₹১২,০০৯ কোটি টাকা।

Latest IPO News: বিক্রম সোলারের আইপিও আজ থেকে খুলে গিয়েছে, যার প্রাইস ব্যান্ড ₹৩১৫-৩৩২ টাকা প্রতি শেয়ার এবং এটি ২১শে অগাস্ট পর্যন্ত জারি থাকবে। কোম্পানি সোলার প্যানেল এবং ফোটোভোল্টিক মডিউল তৈরি করে এবং দ্রুত বেড়ে চলা ক্লিন এনার্জি সেক্টরে সক্রিয় রয়েছে। এই ইস্যু থেকে ₹২,০৭৯ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ₹১,৫০০ কোটি টাকা ফ্রেশ ক্যাপিটাল এবং ₹৫৭৯ কোটি টাকা অফার ফর সেল অন্তর্ভুক্ত। আইপিওর পরে আনুমানিক মার্কেট ক্যাপ ₹১২,০০৯ কোটি টাকা।

কত দামে পাওয়া যাচ্ছে শেয়ার

কোম্পানি এই পাবলিক ইস্যুর প্রাইস ব্যান্ড ৩১৫ টাকা থেকে ৩৩২ টাকা প্রতি শেয়ার ধার্য করেছে। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার জন্য এই দামের মধ্যেই বিড করতে হবে। প্রতিটি শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০ টাকা রাখা হয়েছে।

বিক্রম সোলারের এই আইপিওর মোট ইস্যু সাইজ ২,০৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১,৫০০ কোটি টাকার ফ্রেশ ইস্যু অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে ৫৭৯ কোটি টাকার অংশ অফার ফর সেলের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডাররা বিক্রি করবেন।

একটি লটে কতগুলি শেয়ার

আইপিওতে বিনিয়োগ করার জন্য লট সাইজ ৪৫টি শেয়ার রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, কোনো বিনিয়োগকারীকে কমপক্ষে ৪৫টি শেয়ারের জন্য বিড করতে হবে। যদি কোনো বিনিয়োগকারী ন্যূনতম একটি লট কেনেন, তাহলে তাকে প্রায় ১৪,৯৪০ টাকা লাগাতে হবে। অন্যদিকে সর্বোচ্চ ১৩টি লট পর্যন্ত কেনার সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আইপিও খোলার আগে থেকেই এংকর বিনিয়োগকারীরা এই ইস্যু-তে প্রায় ৬২১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এর ফলে কোম্পানি প্রাথমিক স্তরেই অনেকটা শক্তিশালী হয়েছে। এংকর ইনভেস্টমেন্ট দেখে বাজারে এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, বড় বিনিয়োগকারীরা এই কোম্পানির গ্রোথ এবং বিজনেস মডেলের উপর ভরসা রাখছেন।

কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ

আইপিওর পরে কোম্পানির আনুমানিক মার্কেট ক্যাপ প্রায় ১২,০০৯ কোটি টাকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সংখ্যাটি এটাই প্রমাণ করে যে, সোলার এনার্জির মতো উদীয়মান সেক্টরে বিক্রম সোলারের উপস্থিতি কতটা শক্তিশালী হতে পারে।

বিক্রম সোলার ভারতের সেই কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে অন্যতম, যারা সোলার প্যানেল এবং ফোটোভোল্টিক মডিউলের বড় আকারে উৎপাদন করে। কোম্পানির প্রধান লক্ষ্য হল সোলার এনার্জির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই সেক্টর আজকাল খুব দ্রুত বাড়ছে, কারণ সরকার এবং শিল্প জগৎ উভয়ই ক্লিন এনার্জির উপর জোর দিচ্ছে।

এনার্জি সেক্টরে দ্রুত বৃদ্ধি

গত কয়েক বছরে ক্লিন এনার্জির গুরুত্ব দ্রুত বেড়েছে। দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যার মধ্যে সারা বিশ্বে সোলার এনার্জির চাহিদা বাড়ছে। ভারতও এই দিকে বড় স্তরে কাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে বিক্রম সোলারের মতো কোম্পানিগুলির সম্প্রসারণের ভালো সুযোগ রয়েছে।

আইপিও থেকে তোলা অর্থের ব্যবহার

কোম্পানি এই পাবলিক ইস্যু থেকে তোলা অর্থ তাদের প্রোডাকশন ক্ষমতা বাড়ানো, নতুন প্রোজেক্টে বিনিয়োগ করা এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনাগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহার করবে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে কোম্পানির নিজের ক্ষমতা দ্বিগুণ করার প্রয়োজন, এবং এই আইপিও সেই দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে।

Leave a comment