দেশে মৌসুমী বায়ুর গতি ধীরে ধীরে কমছে, যার ফলে উত্তর ভারতে বৃষ্টি থেকে স্বস্তি মিলছে। তবে, এই সময়ে ভ্যাপসা গরম মানুষের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ ২৩ সেপ্টেম্বরের জন্য বেশ কয়েকটি রাজ্যে আলাদা আলাদা আবহাওয়ার পূর্বাভাস জারি করেছে।
আবহাওয়ার খবর: দেশে এখন মৌসুমী বায়ুর গতি থমকে যেতে শুরু করেছে। বিহার, ইউপি, দিল্লি, পাঞ্জাব থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত মানুষ বৃষ্টি থেকে স্বস্তি পেতে শুরু করেছে। তবে, বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাপমাত্রা আবারও ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে চলে যাচ্ছে, যার ফলে দিল্লিতে ভ্যাপসা গরম মানুষের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে, আবহাওয়া বিভাগ কিছু রাজ্যে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করেছে, যার ফলে মানুষকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশে আবহাওয়ার অবস্থা
দিল্লির বাসিন্দারা আগামী তিন দিন বৃষ্টি থেকে স্বস্তি পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে এবং ভ্যাপসা গরম মানুষকে ভোগাতে পারে। যমুনার জলস্তরও দ্রুত কমছে, যার ফলে নিচু এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা কমে গেছে। দশেরা পর্যন্ত দিল্লির আবহাওয়া পরিষ্কার এবং গরম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর প্রদেশের সমস্ত জেলাকে গ্রিন জোনে রাখা হয়েছে। এর মানে হল, আজ রাজ্যের কোনো অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, আর্দ্রতা এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে মানুষ গরম থেকে স্বস্তি পাবে না। আগস্ট মাসে রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল, অনেক এলাকায় বন্যার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল।
বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা
বিহারের পাটনা, নওয়াদা, জাহানাবাদ, বেগুসরাই, সিওয়ান, সারণ, ভোজপুর, দারভাঙ্গা এবং সমস্তিপুর জেলায় আজ আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক থাকবে। কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া বিভাগ অনুমান করছে যে দশেরার সময় বিহারে আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে। ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা, পূর্ব সিংভূম, পশ্চিম সিংভূম, সিমডেগা এবং হাজারীবাগ জেলায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ এই জেলাগুলিতে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে। আধিকারিকরা বলছেন যে এই অঞ্চলগুলিতে হঠাৎ বৃষ্টি এবং বন্যার মতো পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে মানুষকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মধ্যপ্রদেশে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
মধ্যপ্রদেশে আবহাওয়া বিভাগ মেঘলা আকাশ এবং হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে, রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিক কার্যকলাপ প্রভাবিত হবে না। মানুষকে সতর্ক থাকতে এবং স্থানীয় আবহাওয়ার তথ্যের দিকে নজর রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ডে কোনো ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়নি। সমস্ত জেলাকে গ্রিন জোনে রাখা হয়েছে, অর্থাৎ কোথাও গুরুতর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, গত কয়েক দিনে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে রাজ্যে ৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল, তাই প্রশাসন সতর্ক থাকার নির্দেশ জারি করেছে।