শিলিগুড়ি দুর্গাপুজো থিম: আসন্ন দুর্গাপুজোয় শহরের সুকান্ত স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাব হাজির হচ্ছে এক অভিনব থিম নিয়ে। এ বছরের মূল আকর্ষণ ‘রেডিয়ো’— যে বেতার একসময় বাঙালির জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। ২৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনের আগে চলছে জোরকদমে কাজ। কাঠ-প্লাই দিয়ে গড়ে উঠছে ৩৫ ফুটের রেডিয়ো মণ্ডপ, যার ভেতরে সাজানো হবে প্রায় ৫০টি পুরনো রেডিয়ো সেট ও দুটি গ্রামোফোন। ক্লাব কর্তাদের দাবি, এ উদ্যোগ বাঙালিকে ফেরাবে হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণযুগের সুরে।
রেডিয়োর নস্টালজিয়ায় ফিরছে পুজোর থিম
একসময় সকালের খবর, অনুরোধের আসর, রম্যগীতি কিংবা প্রাত্যহিকী— সবই মিলত রেডিয়োতে। কিন্তু টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বেতারের আবেদন ক্রমশ ফিকে হয়ে এসেছে। সেই বিস্মৃত সঙ্গীকেই আবার ফিরিয়ে আনছে সুকান্ত স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাব। ক্লাবের কর্মকর্তা রানা সাহা জানান, “এবার আমরা চাই বাঙালি ফের রেডিয়োর আবহে ডুব দিক।”
৩৫ ফুটের রেডিয়ো মণ্ডপে পুরনো সম্পদ
মণ্ডপের সামনে তৈরি হচ্ছে ৩৫ ফুট উঁচু রেডিয়ো। ভেতরে সাজানো হচ্ছে প্রায় ৫০টি পুরনো রেডিয়ো মডেল, যার মধ্যে ফিলিপস, মারফি, বুশ কোম্পানির সেটও রয়েছে। দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করবে আরও দুটি গ্রামোফোন, যার একটি এসেছে শিলিগুড়ির এক সঙ্গীতপ্রেমীর উপহার হিসেবে।
ছোট বাজেট, বড় উদ্যোগ
ক্লাবটি তুলনায় ছোট এবং বাজেটও সীমিত— মাত্র আট লক্ষ টাকা, যার মধ্যে এক লক্ষ ১০ হাজার সরকারি অনুদান। তবু থিমনির্ভর পুজো আয়োজনেই তারা বরাবর সুনাম কুড়িয়েছে। অতীতে মরুভূমি, দূষণ কিংবা বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো বিষয়েও অনন্য থিম করেছে ক্লাবটি। এ বছর সেই ধারাবাহিকতায় ফিরেছে রেডিয়ো।
উদ্বোধনে আকাশবাণীর ছোঁয়া
২৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনের দিন মণ্ডপে আসবেন আকাশবাণীর কোনো কর্মকর্তা— এটাই ক্লাব কর্তাদের আশা। তাঁদের মতে, আকাশবাণীর উপস্থিতি থিমকে আরও বাস্তব ও আবেগঘন করে তুলবে।
শিলিগুড়ির সুকান্ত স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাব এ বছর দুর্গাপুজোয় বেছে নিয়েছে এক বিশেষ থিম— রেডিয়ো। ‘স্বর্ণযুগের গান, রেডিয়ো ছিল প্রাণ’ স্লোগানকে সামনে রেখে তৈরি হচ্ছে ৩৫ ফুটের বিশাল রেডিয়ো মণ্ডপ। থাকবে পুরনো ফিলিপস, মারফি, বুশ কোম্পানির রেডিয়ো ও দু’টি গ্রামোফোন। দর্শনার্থীদের ফেরাতে চাওয়া হচ্ছে নস্টালজিয়ার আবহে।