আজ থেকে কার্যকর জিএসটি-র নতুন হার: সস্তা হল দৈনন্দিন জিনিসপত্র, মোদী বললেন 'সময়ের প্রয়োজন', শিন্ডে 'মাস্টারস্ট্রোক'

আজ থেকে কার্যকর জিএসটি-র নতুন হার: সস্তা হল দৈনন্দিন জিনিসপত্র, মোদী বললেন 'সময়ের প্রয়োজন', শিন্ডে 'মাস্টারস্ট্রোক'

আজ থেকে সারা দেশে জিএসটি-র নতুন হার কার্যকর হয়েছে। এর ফলে দৈনন্দিন জিনিসপত্র সস্তা হবে এবং সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এটিকে সময়ের প্রয়োজন হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে একনাথ শিন্ডে এটিকে 'দিওয়ালি ধামাকা' এবং 'মাস্টারস্ট্রোক' বলেছেন।

জিএসটি: সারা দেশে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে জিএসটি (GST)-এর নতুন হার কার্যকর হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক বলে মনে করা হচ্ছে কারণ এর ফলে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সস্তা হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এটিকে ভারতের বর্তমান প্রয়োজন এবং ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষাগুলিকে মাথায় রেখে নেওয়া একটি সংস্কার (reform) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এই পদক্ষেপ কেবল ভোগ ও উৎপাদনকেই বাড়াবে না, বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও সহায়ক হতে পারে।

চার থেকে দুই স্ল্যাবের পরিবর্তন

মহারাষ্ট্রের ডেপুটি সিএম একনাথ শিন্ডে এই সিদ্ধান্তের খোলাখুলি প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন যে আগে জিএসটিতে চারটি স্ল্যাব ছিল কিন্তু এখন মাত্র দুটি প্রধান স্ল্যাব রয়েছে—৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ। এই বড় পরিবর্তনের ফলে কর কাঠামো সরল (simplified tax structure) হয়েছে এবং এর সরাসরি প্রভাব সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত, কৃষক এবং ব্যবসায়ী শ্রেণীর উপর পড়বে।

দিওয়ালির আগে স্বস্তির উপহার

জিএসটি হার কমানোকে একনাথ শিন্ডে ‘দিওয়ালি ধামাকা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন যে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সস্তা করা হয়েছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ কমবে। দিওয়ালির আগে এই পদক্ষেপকে জনগণের জন্য একটি বড় উপহার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। শিন্ডে বলেছেন যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ভোগ (consumption) বাড়বে এবং বাজারে প্রাণবন্ততা ফিরে আসবে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার সন্ধ্যা ৫টায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেছেন যে সংস্কার (reforms) একটি অবিরাম প্রক্রিয়া (continuous process)। সময়ের সাথে সাথে যখন জাতীয় প্রয়োজন পরিবর্তন হয়, তখন নতুন সংস্কার করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে নতুন জিএসটি কাঠামোতে কেবল দুটি প্রধান স্ল্যাব থাকবে যা ব্যবস্থাকে সরল ও স্বচ্ছ করবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে এই পরিবর্তন কেবল বর্তমান চাহিদাগুলিই পূরণ করবে না বরং আগামী বছরগুলিতে দেশের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব (sovereignty)-কেও আরও শক্তিশালী করবে।

শিন্ডের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ

একনাথ শিন্ডে বলেছেন যে এই পদক্ষেপ সত্যিই বিপ্লবী। তিনি এটিকে ‘মোদীজির মাস্টারস্ট্রোক’ বলে অভিহিত করেছেন। শিন্ডে বলেছেন যে এটি জীবন পরিবর্তনকারী একটি সিদ্ধান্ত কারণ এর ফলে ভোগ, উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। তিনি দাবি করেছেন যে এর মাধ্যমে ছোট ব্যবসায়ী, দোকানদার এবং কৃষকরা অনেক বড় স্বস্তি পাবেন।

বিরোধীদের প্রতি উপদেশ

ডেপুটি সিএম শিন্ডে বিরোধীদের প্রতি আবেদন করেছেন যে তারা যেন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় কারণ এটি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের স্বার্থে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন যে এই সংস্কার কোনো একটি শ্রেণীর জন্য নয় বরং সমগ্র সমাজের জন্য। বিরোধীদের রাজনীতি থেকে ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর প্রভাব

নতুন জিএসটি হারগুলির সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর। ভোজ্য তেল, সাবান, টুথপেস্ট, গৃহস্থালীর সরঞ্জাম এবং পোশাকের মতো জিনিসপত্র আগের চেয়ে সস্তা হয়ে যাবে। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির উপরও নিয়ন্ত্রণ আসার আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এর ফলে ভোক্তা ব্যয় (consumer spending) বাড়বে যা অর্থনীতিকে গতি দেবে।

Leave a comment