ঘাটালে মাস্টার প্ল্যানের বারবার আশ্বাস মিললেও বাস্তবায়ন আজও অধরা। প্রতি বর্ষায় একই ছবি—নদীর জল উপচে ঘর-বাড়ি ডুবে যাচ্ছে, রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, "এই দুঃখ কবে ঘুচবে?"
ঝুমি নদীর দাপটে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত
ঝুমি নদীর জল হু-হু করে বাড়ছে। মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম জলের তলায়। কৃষিজমি ডুবে গিয়েছে, বহু রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। বাঁধ উপচে জল ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।
প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের রাস্তাও জলের নিচে
মনসুকা থেকে পালপুকুরগামী প্রধান রাস্তা, যা প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার অধীনে তৈরি, তাও এখন ডুবে রয়েছে বন্যার জলে। ফলে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
জীবনযাত্রায় নৌকার ভরসা, পায়ে হেঁটে অসম্ভব
ঘাটাল পৌরসভা এবং আশপাশের ব্লকগুলিতে গত এক মাস ধরে জলমগ্ন অবস্থা। স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য একমাত্র ভরসা নৌকা ও ছোট ডিঙি। বৃষ্টির পাশাপাশি জলাধার থেকে জল ছাড়াও বিপদ আরও বাড়িয়েছে।
কৃষিজমি জলে ডুবে, বাজারে পণ্য সংকটের আশঙ্কা
গোটা অঞ্চলের ধানক্ষেত, সবজির জমি জলের তলায়। ফলে বাজারে সবজির জোগান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। দামও হবে চড়া। কৃষকদের পাশাপাশি ভোক্তারাও পড়বেন বেকায়দায়।
বর্ষা শুরুর পর পঞ্চমবার প্লাবিত ঘাটাল
এই বর্ষা মৌসুমেই পঞ্চমবারের মতো বানভাসি হল ঘাটাল। প্রতি বছর একই ছবি দেখা গেলেও প্রশাসনের তরফে স্থায়ী কোনও সমাধান আজও নেই। বছর ঘুরে যায়, সমস্যা থেকে যায়।
জলযন্ত্রণায় নাভিশ্বাস, মাস্টার প্ল্যানের দাবিতে জনরোষ
স্থানীয়দের বক্তব্য, “প্রতিবার শুধু প্রতিশ্রুতি, বাস্তবে কিছু হয় না।” বহু বছর আগে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা উঠলেও কাজ শুরু হয়নি। রাজনৈতিক নেতাদের আশ্বাসে আজ আর ভরসা নেই তাঁদের।
প্রশাসনিক উদ্যোগ কোথায়? প্রশ্ন উঠছে বারবার
বন্যা পরিস্থিতিতে খাবার পৌঁছে দেওয়া, নৌকার ব্যবস্থা, কিছু ত্রাণ—এটুকু করে প্রশাসন দায় ঝেড়ে ফেলছে বলেই মনে করছে মানুষ। মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে গড়িমসির কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা ঘিরে।
ঘাটালবাসীর প্রশ্ন: 'এই যন্ত্রণা কবে শেষ হবে?'
ঘাটালের মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন—এই বারবারের দুর্ভোগ, ভোগান্তি কবে শেষ হবে? প্রকৃতির রোষ থামবে কবে? না কি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা আরও কাল হয়ে দাঁড়াবে?