ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ডস: ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শুরু করলো পাকিস্তান

ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ডস: ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শুরু করলো পাকিস্তান

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ডসের দ্বিতীয় সিজনটি শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তান ইংল্যান্ডকে একটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ৫ রানে হারিয়েছে।

WCL 2025: ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ডসের দ্বিতীয় সিজন শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নসকে তাদের ঘরের মাঠে ৫ রানে পরাজিত করেছে। এই ম্যাচে উভয় দলের কিংবদন্তি খেলোয়াড়রা ভালো পারফরম্যান্স করেছেন, তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজের বিস্ফোরক ইনিংসটি জয় এনে দেয়। তার দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি ইংল্যান্ডের দুটি অর্ধশতকের উপর ভারী পড়ে এবং পাকিস্তান এই জয়ের সাথে টুর্নামেন্টে বিজয়ী সূচনা করে।

পাকিস্তানের ইনিংসের বিপর্যয়, তবে হাফিজের সম্মান পুনরুদ্ধার

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের শুরুটা ভালো হয়নি। দলটি শুরুতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। ওপেনার শারজিল খান ১৫ বলে মাত্র ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে তিনি ক্যাচ আউট হন। এর পরপরই কামরান আকমল (৮) ও উমর আমিনও (৬) দ্রুত আউট হন। অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকও কিছু করতে পারেননি এবং ১ রান করে আউট হন।

দলের স্কোরবোর্ডে গতি আনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ। তিনি ৩৪ বলে ৫৪ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যেখানে ৮টি চমৎকার চার ছিল। হাফিজের এই ইনিংসটি দলকে একটি সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেয়। একই সময়ে, সোহেল তানভীর ১১ বলে ১৭ রান এবং সোহেল খান ৫ বলে ৮ রান করে শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় রান যোগ করেন।

শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস তাদের ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে। ইংল্যান্ডের হয়ে লিয়াম প্লাঙ্কেট এবং ক্রিস ট্রেমলেট ২টি করে উইকেট নেন, যেখানে রায়ান সাইডবটমও একটি সাফল্য পান।

ইংল্যান্ডের জবাব: মাস্টার্ড ও বেলের হাফ সেঞ্চুরি সত্ত্বেও হার

১৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নসের শুরুটা বেশ খারাপ ছিল। দলের অভিজ্ঞ ওপেনার স্যার অ্যালিস্টার কুক ১৫ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন। তার সঙ্গী জেমস ভিন্সও সংগ্রাম করতে থাকেন এবং ৯ বলে ৭ রান করে আউট হন।

এরপর ইংল্যান্ডের ইনিংসটি ফিল মাস্টার্ড এবং ইয়ান বেল সামাল দেন। উভয় ব্যাটসম্যানই দুর্দান্ত অর্ধশতক করেন। ফিল মাস্টার্ড ৫১ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৫৮ রান করেন, যেখানে ইয়ান বেল ৩৫ বলে ৫১ রান করেন। তবে দুই ব্যাটসম্যানের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য থেকে ৫ রান দূরে থেকে যায়।

অধিনায়ক ইয়ন মরগান শেষ ওভারে দ্রুত রান করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনিও ১২ বলে মাত্র ১৬ রান যোগ করতে পারেন এবং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে।

বোলিংয়ে পাকিস্তানের আধিপত্য

পাকিস্তানের বোলিংয়ে সোহেল তানভীর, আমির ইয়ামিন এবং রুমান রইস ১টি করে উইকেট পান। পাকিস্তানের বোলাররা মাঝের ওভারে আঁটসাঁট বোলিং করে ইংল্যান্ডকে খেলার সুযোগ দেয়নি, যা শেষ পর্যন্ত তাদের জয়ের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ম্যাচে অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ পাকিস্তানের নায়ক ছিলেন।

যখন দলের টপ ও মিডল অর্ডার একের পর এক ভেঙে পড়েছিল, তখন হাফিজ ধৈর্য ও আগ্রাসনের সংমিশ্রণে ৫৪ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন। তিনি একাই দলকে ১৬০ রানের গণ্ডি পার করান এবং ইংল্যান্ডকে জয় থেকে দূরে রাখেন।

Leave a comment