ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এ ছত্তিশগড় প্যাভিলিয়নের আকর্ষণ, প্রথম দিনেই ২২,০০০ দর্শক

ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এ ছত্তিশগড় প্যাভিলিয়নের আকর্ষণ, প্রথম দিনেই ২২,০০০ দর্শক

জাপানে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর প্রথম দিনে ছত্তিশগড় প্যাভিলিয়ন ২২,০০০-এর বেশি দর্শক আকর্ষণ করেছে। এই প্যাভিলিয়নটি ছত্তিশগড়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পর্যটন, শিল্প উন্নয়ন এবং লোককলার ঝলক তুলে ধরে। নয়া রায়পুর, চিত্রকোট জলপ্রপাত এবং বস্তারের ঢোকরা শিল্প বিশেষ আকর্ষণ ছিল।

World Expo 2025: প্রথম দিনেই ছত্তিশগড় প্যাভিলিয়ন বিশ্বব্যাপী দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উদ্বোধনী দিনে ২২ হাজারের বেশি মানুষ প্যাভিলিয়নটি পরিদর্শন করেছেন এবং ছত্তিশগড়ের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক, শিল্প এবং পর্যটন ঐতিহ্যের ঝলক উপভোগ করেছেন। ভারত সরকারের ইন্ডিয়ান ট্রেড প্রোমোশন অর্গানাইজেশন (ITPO)-এর আমন্ত্রণে রাজ্য এই এক্সপোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে।

প্যাভিলিয়নে ছত্তিশগড়ের ঐতিহ্য, শিল্প এবং পর্যটনকে আকর্ষণীয় এবং জীবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আধুনিক শিল্প অগ্রগতি এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অভিজ্ঞতা দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের সংস্কৃতি, পর্যটন এবং শিল্প উন্নয়ন

ছত্তিশগড় প্যাভিলিয়নের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে দর্শনার্থীরা রাজ্যের সংস্কৃতি এবং উন্নয়ন যাত্রা সরাসরি অনুভব করতে পারেন। নয়া রায়পুর, ভারতের প্রথম গ্রিনফিল্ড স্মার্ট সিটি, বিনিয়োগ এবং শিল্পProgress এর দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।

প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে চিত্রকোট জলপ্রপাত এবং ঐতিহাসিক সিরপুরকে (Sirpur) প্রদর্শিত করা হয়েছে। চিত্রকোট জলপ্রপাত, যাকে "ভারতের নায়াগ্রা" বলা হয়, ছত্তিশগড়ের প্রাকৃতিক পরিচয়ের প্রতীক। অন্যদিকে, সিরপুরের বৌদ্ধ স্থানটি রাজ্যের সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।

শিল্প এবং বিনিয়োগের কেন্দ্র ছত্তিশগড়

প্যাভিলিয়নে রাজ্যের ভৌগোলিক অবস্থান এবং মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ককে তুলে ধরা হয়েছে। উৎপাদন, বস্ত্র, আইটি/আইটিইএস, ইলেকট্রনিক্স এবং গ্রামোद्योग क्षेत्रে ছত্তিশগড়ের দ্রুত অগ্রগতি প্রদর্শিত হয়েছে।

এটি দর্শক এবং বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের এই বার্তা দেয় যে ছত্তিশগড় বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত এবং একটি উদীয়মান কেন্দ্র। রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা এবং লজিস্টিক নেটওয়ার্ক এটিকে বিশ্ব মঞ্চে আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান হিসাবে উপস্থাপন করেছে।

ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে রাজ্যের লোককলা এবং হস্তশিল্প প্রদর্শিত হয়েছে

ছত্তিশগড়ের লোককলা এবং হস্তশিল্প প্যাভিলিয়নে প্রধানভাবে দেখানো হয়েছে। বস্তারের ৪,০০০ বছর পুরোনো ঢোকরা শিল্প এবং কোসা সিল্কের শৈল্পিক ইনস্টলেশন দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। কোসা সিল্কের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এবং দৃঢ়তা রাজ্যের সাংস্কৃতিক আত্মাকে উন্মোচন করে।

এই শৈল্পিক প্রদর্শনী ছত্তিশগড়ের আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃতি এবং উন্নয়নের ভারসাম্যকে दर्शाता है। দর্শনার্থীরা এই শিল্পকর্মগুলির অনন্য পরিচয় এবং সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছেন।

ছত্তিশগড় বিশ্বজুড়ে তার পরিচয় তৈরি করেছে

ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এ ছত্তিশগড় প্যাভিলিয়নের খ্যাতি আগামী দিনের জন্য প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি কেবল সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের উৎসব নয়, রাজ্যকে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ এবং শিল্প প্রগতির কেন্দ্র হিসাবে উপস্থাপন করে। প্যাভিলিয়নটি ছত্তিশগড়ের ঐতিহ্য, শিল্প এবং পর্যটনকে আন্তর্জাতিক দর্শকদের সামনে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছে।

Leave a comment