হরিয়ানার যমুনা নগরে, হাতিనికুণ্ড ব্যারেজের ভাটির অংশে, মানুষ যমুনা নদীতে ভেসে আসা কাঠ ধরতে গিয়ে নিজেদের জীবন বিপন্ন করছে। প্রশাসন ও পুলিশ বারবার সতর্কীকরণ এবং টহলদারি করা সত্ত্বেও মানুষজন শুনছে না।
যমুনা নগর: হরিয়ানার যমুনা নগরে, হাতিనికুণ্ড ব্যারেজের ভাটির অংশে, মানুষ পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ভেসে আসা কাঠ ধরতে গিয়ে নিজেদের জীবন বিপন্ন করছে। লাগাতার বৃষ্টি এবং যমুনা নদীর বন্যা পরিস্থিতি আরও গুরুতর করে তুলেছে, জলস্তর বাড়ছে। প্রশাসন, প্রতাপনগর থানা এবং পুলিশ সহ সেচ বিভাগের আধিকারিকরা লাগাতার মানুষকে সরানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু সতর্কবার্তা সত্ত্বেও তারা নদীর তীরে জড়ো হচ্ছে।
যমুনা নদীর বন্যা ও ক্রমবর্ধমান বিপদ
যমুনা নদীতে বন্যা হলে তা পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ধ্বংসাবশেষ এবং বনভূমির কাঠ ভেসে নিয়ে আসে। এর ফলে ব্যারেজের কাছে কাঠ সংগ্রহকারীদের সংখ্যা প্রতি বছর বেড়ে যায়। হাতিనికুণ্ড ব্যারেজের সব গেট খুলে দেওয়ার ফলে কাঠগুলো দ্রুত ভেসে যাচ্ছে, এবং মানুষজন ব্যারেজের ভাটি অঞ্চলের দ্বীপের কাছে জড়ো হচ্ছে।
স্থানীয় মানুষজন এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতেও কাঠ ধরতে ব্যারেজের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও মানুষ নদীর ধারে জড়ো হচ্ছে।
প্রশাসন ও পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে
প্রতাপনগর থানা এবং সেচ বিভাগের দল লাগাতার ব্যারেজের কিনারে টহলদারি করছে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, মানুষকে নদীর বিপজ্জনক এলাকা থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সাইরেন বাজিয়ে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে যাতে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যায়।
১৮ আগস্ট, এই অঞ্চলেই কাঠ ধরতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের একজন ব্যক্তি নদীতে ভেসে গিয়েছিল। তাকে বহু ঘণ্টা চেষ্টা করার পর প্রায় ২ কিলোমিটার দূর থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনাটি সকলের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করেছে।
যমুনা তীরে কাঠ ধরায় সতর্কীকরণ
স্থানীয় প্রশাসন লাগাতার নিশ্চিত করছে যাতে কোনো প্রাণহানি না হয়। যমুনা নদীর বন্যার কারণে নদীর তীরে কাঠ ধরা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। পুলিশ এবং প্রশাসনের দল লাগাতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে।
এই অঞ্চলে লাগাতার বৃষ্টির ফলে নদীর জল বাড়ছে এবং ধ্বংসাবশেষ ভেসে আসছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষজন নিজেদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে কাঠ ধরতে এসেছে, যা তাদের জীবনের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে।