দিল্লি প্রদেশে বিজেপি সরকার গঠনের পর যমুনা নদীর পরিচ্ছন্নতা এবং উন্নতির জন্য নতুন করে পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে যমুনার সংরক্ষণ এবং পুনরুজ্জীবনের জন্য নয় হাজার কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ করা হয়েছে।
ডাচ ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট পলিসি: দিল্লিতে যমুনা নদীর পরিচ্ছন্নতা এবং পুনরুজ্জীবনের জন্য সরকার একটি महत्वाकांक्षी পরিকল্পনা শুরু করেছে, যেখানে ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে মোট ৯০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ১৫০০ কোটি টাকা সিভার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং সিভার লাইন ব্যবস্থার জন্য খরচ করা হবে, যেখানে কেন্দ্র সরকারের কাছে অতিরিক্ত ২০০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
এই প্রয়াসকে সফল করতে ভারত নেদারল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে এবং ১৪টি বিভাগ এবং এজেন্সির ভূমিকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যারা যমুনার পরিস্থিতি উন্নত করতে একসঙ্গে কাজ করবে।
ডাচ মডেল ও যমুনা পরিষ্কার
যমুনা নদী পরিষ্কারের জন্য যে ডাচ মডেল গ্রহণ করা হচ্ছে, তার ভিত্তি নেদারল্যান্ডের জল ব্যবস্থাপনা নীতিতে নিহিত। নেদারল্যান্ডের একটি বড় অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে, যেখানে জোয়ার-ভাটা এবং বন্যার ঝুঁকি সবসময় থাকে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য নেদারল্যান্ড জল উত্তোলনের একটি অনন্য নীতি তৈরি করেছে, যেখানে জলকে শুধুমাত্র একটি সম্পদ হিসেবে নয়, বরং কৌশলগত সরঞ্জাম হিসেবে দেখা হয়।
এই নীতি স্থিতিশীল উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সামাজিক সমতাকে উৎসাহিত করে। বন্যা, দূষণ এবং জলের সংকট এর মতো সমস্যা সমাধানের জন্য গবেষণা, ডিজাইন, অর্থায়ন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে সক্রিয় করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। ডাচ বিশেষজ্ঞ হেঙ্ক ওভিঙ্কের মতে, জলের পারস্পরিক সহায়ক শক্তি এবং সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা আমাদের এমন সুযোগ প্রদান করে, যা উপেক্ষা করা যায় না।
৯০০০ কোটি টাকার বাজেট এবং এর খরচ
দিল্লির বিজেপি সরকার যমুনার দশা सुधारের জন্য ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে ৯০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে ১৫০০ কোটি টাকা সিভার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং সিভার লাইন নির্মাণের উন্নতিতে খরচ হবে। এছাড়াও, জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে যমুনা নদী সংরক্ষণের জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে ২০০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত राशि চাওয়া হয়েছে। এই राशि প্রধানত দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জল পুনঃব্যবহার, আর্দ্রভূমি ব্যবস্থাপনা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
যমুনা পরিষ্কারের এই অভিযানে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা (এনএমসিজি) নেদারল্যান্ডের সহযোগিতায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আর্বান অ্যাফেয়ার্স (এনআইইউএ), আইআইটি দিল্লি, দিল্লি জল বোর্ড, দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, দিল্লি নগর নিগম, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি সহ ১৪টি प्रमुख বিভাগ এবং এজেন্সির ভূমিকা নির্ধারণ করেছে।
এই জোটের উদ্দেশ্য দীর্ঘমেয়াদী মালিকানা, প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা এবং जमीनी স্তরে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। সমস্ত এজেন্সি একসঙ্গে নদীর সংবেদনশীলতা অনুযায়ী विकास कार्य করবে, যা দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি জল সম্পদের স্থিতিশীল ব্যবস্থাপনাকেও सुनिश्चित করবে।
রিভার সিটি এলায়েন্স এবং আর্বান রিভার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান
সরকার ‘রিভার সিটি এলায়েন্স’-এর অধীনে আর্বান রিভার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান लागू করেছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য শহরের সমস্যাগুলো দূর করে যমুনা নদীর অবস্থার উন্নতি ঘটানো। शहरी এলাকায় জল দূষণ, আবর্জনা, औद्योगिक বর্জ্য আটকানো तथा सीवर नेटवर्क दुरुस्त করার ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
এই পরিকল্পনায় জলের পুনঃব্যবহার, आर्द्रभूमि সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য প্রচারের দিকগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, जिससे নদীর पारिस्थितिक तंत्रকে सशक्त করা যায়।
ডাচ-ভারতীয় জল অংশীদারিত্বের ইতিহাস
ভারত ও নেদারল্যান্ডের মধ্যে জল ব্যবস্থাপনা নিয়ে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল, যখন নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট্টে नई दिल्ली এসেছিলেন। এর পর ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেদারল্যান্ড সফরের সময় এই सहयोग আরও শক্তিশালী হয়।
ডাচ ইন্ডো ওয়াটার এলায়েন্স এবং দিল্লিতে ‘লোটাস’ (লোकल ट्रीटमेंट आफ अर्बन सीवेज स्ट्रीम्स) जैसी প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। এপ্রিল २०२१ এ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এই साझेदारी আরও প্রসারিত হয় और २०२२ এ কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রী এবং নেদারল্যান্ডের জল মন্ত্রী একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই অংশীদারিত্বের असर प्रयागराज এর মহাকুম্ভ और চেন্নাই এর জল সংকট প্রকল্পগুলোতেও দেখা যায়, যেখানে বিকেন্দ্রীकृत জল সঞ্চয় প্রকল্পের सफल कार्यान्वयन হয়েছে। নদীর শুদ্ধতা এবং পবিত্রতা স্থানীয় সমাজ এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই বজায় রাখা যায়। ঔপনিবেশিক যুগে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসার পর নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ बाधित হয়েছে। এখন আবারও স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোকে নদী সংরক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার যাতে নদী অবিরল এবং स्वच्छ থাকে।