যোগী আদিত্যনাথ সরকারের উদ্যোগে উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় স্থানগুলির সংস্কার ও পর্যটন উন্নয়ন

যোগী আদিত্যনাথ সরকারের উদ্যোগে উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় স্থানগুলির সংস্কার ও পর্যটন উন্নয়ন

উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার রাজ্যজুড়ে মন্দির ও আশ্রমগুলির সংস্কার এবং পর্যটন উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনা শুরু করেছে। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হল ধর্মীয় স্থানগুলিকে শুধু সুন্দর ও সুবিধাজনক করে তোলা নয়, বরং সেগুলিকে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করাও। বিশেষ বিষয় হল, এবার পূর্বাঞ্চলের মন্দির ও তীর্থস্থানগুলির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

পূর্বাঞ্চলের প্রধান মন্দিরগুলির নতুন রূপ দেওয়া হবে

পর্যটন বিভাগ কর্তৃক প্রস্তুত কর্মপরিকল্পনা অনুসারে, বালিয়া জেলার বিখ্যাত ভৃগু আশ্রমের অন্তর্গত চিত্রগুপ্ত মন্দিরের সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। এছাড়াও, ফরাসাতার-এর হোলপুর গ্রামে অবস্থিত হনুমান মন্দির, বসন্তপুরের উদাসীন মঠ, আজমগড়ের পওই অঞ্চলে দুর্বাসা ঋষি আশ্রম এবং মহারাজগঞ্জে ভৈরো বাবা স্থানকেও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই স্থানগুলিতে মৌলিক সুবিধা বৃদ্ধি, পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতিতে বিশেষ জোর দেওয়া হবে।

অন্যান্য জেলাগুলিতেও পর্যটন উন্নয়নমূলক কাজ হবে

এছাড়াও, মউ জেলায় শ্রী বীরা বাবা ব্রহ্ম স্থান, আজমগড়ের মিশ্রাপুরে অবস্থিত রাম জানকী মন্দির, কনৌজের সদর অঞ্চলের ফুলমতি দেবী মন্দির এবং আজমগড়ের ধন্নিপুর, সিংপুর ও বাঁসগাঁওয়ে সন্ত পরমহংস বাবার স্থানগুলিরও পর্যটন উন্নয়ন করা হবে। এই স্থানগুলিতে মূল ধর্মীয় কাঠামো সংরক্ষণ করে তীর্থযাত্রীদের জন্য আরও ভালো সুবিধা প্রদান করা হবে।

ধর্মীয় পর্যটন নতুন পরিচিতি পাবে

সরকারের লক্ষ্য হল ধর্মীয় স্থানগুলিকে কেবল শ্রদ্ধার কেন্দ্র হিসাবে তৈরি করা নয়, বরং সেগুলিকে পর্যটন এবং স্থানীয় কর্মসংস্থানের মাধ্যম হিসেবেও গড়ে তোলা। অযোধ্যা, কাশী এবং মথুরার মতো বড় তীর্থস্থানগুলির পাশাপাশি, রাজ্যের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলিকেও আন্তর্জাতিক মানচিত্রে আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলে কেবল রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষিত হবে না, পর্যটনের নতুন সুযোগও সৃষ্টি হবে।

Leave a comment