চিত্রকূট, বান্দা এবং কৌশাম্বীতে ওভারলোড ট্রাক ও বালি থেকে অবৈধ আদায়ের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ১১ জন পুলিশ কর্মীকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়েছে। ডিজিপি তিনটি জেলা থেকে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছেন।
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট, বান্দা এবং কৌশাম্বী জেলায় ওভারলোড ট্রাক ও বালি আদায়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ডিজিপি রাজীব কৃষ্ণ ১১ জন পুলিশ কর্মীকে তাৎক্ষণিক ভাবে বরখাস্ত করেছেন। এই বিষয়টি অবৈধ আদায় এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ১ জন পরিদর্শক, ১ জন মহিলা উপপরিদর্শক, ৪ জন পুরুষ উপপরিদর্শক এবং ৫ জন আরক্ষী (কনস্টেবল) রয়েছেন। ডিজিপি তিনটি জেলা থেকে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছেন এবং মামলার তদন্ত কঠোরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
চিত্রকূটে সাত পুলিশ কর্মী বরখাস্ত
চিত্রকূট জেলায় মোট সাতজন পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ভরকূপ থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক মনোজ কুমার, আরক্ষী রণবীর সিং, পাহাড়ি থানার এসও অনুপমা তিওয়ারি (উপপরিদর্শক), আরক্ষী শুভম দ্বিবেদী, রাজাপুর থানার এসও পঙ্কজ তিওয়ারি (উপপরিদর্শক), উপপরিদর্শক ইমরান খান এবং আরক্ষী অজয় মিশ্র।
এসপি অরুণ কুমার সিং জানিয়েছেন যে, মামলার বিস্তারিত তদন্ত এএসপি সত্যপাল সিংকে দেওয়া হয়েছে, যিনি প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখছেন।
বান্দা এবং কৌশাম্বীতেও বরখাস্ত
বান্দা জেলায় বাদৌসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কুলদীপ কুমার তিওয়ারি (উপপরিদর্শক) এবং আরক্ষী অনুরাগ যাদবকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, কৌশাম্বীর মাহেওয়াঘাট থানা থেকে এসও প্রভুনাথ সিং (উপপরিদর্শক) এবং আরক্ষী শিবম সিংকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত সহকারী পুলিশ সুপারকে দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপ এই বার্তা দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে যে আইন ও নিয়মের লঙ্ঘন কোনো অবস্থাতেই বরদাস্ত করা হবে না।
ভাইরাল ভিডিওতে সামনে এল অবৈধ আদায়
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তিনটি জেলার পুলিশ কর্মীদের দ্বারা ওভারলোড ট্রাক এবং বালির উপর পূর্বনির্ধারিত আদায় হার স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল, যেখানে বিভিন্ন থানা থেকে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ আদায় করা হচ্ছিল,
যেমন বাদৌসা থানা থেকে ৭০০০ টাকা, ভরকূপ থেকে নুড়ি পাথরের ট্রাকের জন্য ২৫০০ টাকা এবং বালির ট্রাকের জন্য ৪০০০ টাকা, অন্যদিকে পাহাড়ি থানা থেকে ২৫০০ টাকা, রাজাপুর থেকে ৪০০০ টাকা এবং মাহেওয়াঘাট থানা থেকে প্রতি ট্রাকে ৩০০০ টাকা আদায় করা হচ্ছিল, যা প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।