চৌদ্দ মুখী রুদ্রাক্ষ, যাকে মহাশনি বা দেবমণিও বলা হয়, শনি গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং শিবজির কৃপায় উৎপন্ন বলে মনে করা হয়। এই রুদ্রাক্ষ মানসিক চেতনা, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়, আত্মরক্ষা এবং যশ-খ্যাতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রশাসনিক ক্ষেত্র, শেয়ার মার্কেট, আমদানি-রফতানি এবং শনির দশা বা কালসর্প দোষযুক্ত লোকেদের জন্য বিশেষভাবে লাভজনক।
১৪ মুখী রুদ্রাক্ষ: যাকে মহাশনি বা দেবমণিও বলা হয়, শনি গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং শিবজির কৃপায় উৎপন্ন বলে মনে করা হয়। এই রুদ্রাক্ষ মানসিক চেতনা, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়, আত্মরক্ষা এবং যশ-খ্যাতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রশাসনিক ক্ষেত্র, শেয়ার মার্কেট, আমদানি-রফতানি এবং শনির দশা বা কালসর্প দোষযুক্ত লোকেদের জন্য বিশেষভাবে লাভজনক।
ভগবান শিবের কৃপায় উৎপন্ন
১৪ মুখী রুদ্রাক্ষকে শিবজির কৃপায় উৎপন্ন মনে করা হয়। এটিকে স্বয়ং ভগবান শিবের চোখ থেকে উৎপন্ন হওয়া রত্ন বলা হয়। তাই একে শিবজির আশীর্বাদ প্রাপ্ত রুদ্রাক্ষও মনে করা হয়। এই রুদ্রাক্ষকে শিবজির তৃতীয় নেত্রের সমান মান্যতা দেওয়া হয়। বলা হয় যে ব্যক্তি এটিকে কপালের মধ্যস্থলে ধারণ করে, তার পূজা দেবতা এবং ব্রাহ্মণ স্বয়ং করেন।
শাস্ত্র অনুযায়ী এই রুদ্রাক্ষ কপালে পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি দুই ভ্রুর মধ্যে অবস্থিত আজ্ঞাচক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। আজকের দিনে এটিকে সরাসরি কপালে পরা কঠিন হতে পারে, তাই এটিকে গলায় ধারণ করা যেতে পারে। দিনের কিছু সময় এটিকে কপালে অবস্থিত আজ্ঞাচক্রের সাথে স্পর্শ করানো লাভজনক মনে করা হয়। এমনটা করলে মানসিক চেতনা এবং একাগ্রতা বজায় থাকে।
১৪ মুখী রুদ্রাক্ষের শক্তি
কিছু মতানুসারে ১৪ মুখী রুদ্রাক্ষ হনুমানজির অবতারও মনে করা হয়। এর অর্থ হল এটি ধারণকারী ব্যক্তির উপর হনুমানজির আশীর্বাদও বজায় থাকে। মহাশনি এবং দেবমণি নামে পরিচিত এই রুদ্রাক্ষ পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তি প্রদানে সহায়ক। এর পাশাপাশি এটি ব্যক্তির যশ-খ্যাতি বৃদ্ধি করে।
এই রুদ্রাক্ষ ধারকের বর্তমান পরিস্থিতিকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করার ক্ষমতা প্রদান করে। এটি পরলে চিন্তা-ভাবনার শক্তি বৃদ্ধি পায়। ধারকের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় জাগ্রত হয় এবং আত্মরক্ষার ক্ষমতাও বিকশিত হয়। কাজের পরিকল্পনা সঠিকভাবে তৈরি করার শক্তি এতে নিহিত থাকে।
কার জন্য লাভজনক ১৪ মুখী রুদ্রাক্ষ
যে সকল ব্যক্তি প্রশাসনিক ক্ষেত্রে শীর্ষ পদে আছেন অথবা অন্যদের যোগ্যতা মূল্যায়নে অসুবিধা বোধ করেন, তাদের জন্য এই রুদ্রাক্ষ খুব উপকারী। এটি ধারণ করলে মানুষের স্বভাব এবং যোগ্যতা বোঝা সহজ হয়ে যায়।
শেয়ার মার্কেট, আমদানি-রফতানি বা ব্যবসার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদেরও এর বিশেষ লাভ হয়। এই রুদ্রাক্ষ ধারককে দূরে বসে থাকা ব্যক্তির স্বভাব এবং মানসিক অবস্থা অনুমান করার ক্ষমতা প্রদান করে।
যাদের শনির দশা ভালো যাচ্ছে না অথবা কালসর্প দোষে ভুগছেন, তাদের জন্য ১৪ মুখী রুদ্রাক্ষ অত্যন্ত লাভজনক।
স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব
১৪ মুখী রুদ্রাক্ষ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যায় সাহায্য করে। এটি ধারণ করলে হৃদরোগ, চোখের রোগ, ত্বকের রোগ, মানসিক রোগ এবং ফোস্কা সম্পর্কিত সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। এটি দুর্বলতা, পেটে ব্যথা, প্যারালাইসিস, মৃগী, শুনতে অসুবিধা এবং হাঁটুর সমস্যাতেও সহায়ক।
হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিকে ১৪ মুখী রুদ্রাক্ষের তিনটি দানা ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মৃগীরোগের আক্রমণ হলে রুদ্রাক্ষের দানা, ফলের শাঁস বা গাছের ছাল সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
১৪ মুখী রুদ্রাক্ষের মন্ত্র
- শিবপুরাণ অনুসারে এর মন্ত্র হল- ওম নমঃ।
- মন্ত্র মহার্ণব অনুসারে- ওম নমো নমঃ।
- পদ্মপুরাণ অনুসারে- ওম ব্রাং।
- স্কন্দপুরাণ অনুসারে- ওম দুং মাং নমঃ।
এই মন্ত্রগুলির নিয়মিত জপ রুদ্রাক্ষের প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে।