হিজড়াদের দান করার সময় যে ৫টি বিষয় অবশ্যই মনে রাখা উচিত

হিজড়াদের দান করার সময় যে ৫টি বিষয় অবশ্যই মনে রাখা উচিত

আমাদের সমাজে হিজড়া সম্প্রদায়কে নিয়ে সবসময়ই একটি বিশেষ বিশ্বাস প্রচলিত আছে। বিয়ে-শাদী, সন্তানের জন্ম বা কোনো শুভ অনুষ্ঠান হলে, সেখানে হিজড়াদের আসা শুভ বলে মনে করা হয়। মানুষ তাঁদের খুশি করে আশীর্বাদ নেয় এবং প্রণামী হিসেবে অর্থ, বস্ত্র বা খাবার দিয়ে বিদায় করে। কিন্তু আপনি কি জানেন, হিজড়াদের সবকিছু দান করা যায় না? কিছু জিনিস যদি হিজড়াদের দেওয়া হয়, তাহলে তার উল্টো প্রভাবও পড়তে পারে।

তাই আপনিও যদি কখনও হিজড়াদের দান করেন বা তাঁদের কাছ থেকে ‘লাকি কয়েন’ নেন, তাহলে এই ৫টি জরুরি বিষয় অবশ্যই জেনে নিন।

হিজড়াদের থেকে পাওয়া মুদ্রা নিয়ে কী বিশ্বাস প্রচলিত আছে

অনেক সময় হিজড়ারা খুশি হয়ে কাউকে একটি মুদ্রা দিয়ে থাকেন, যেটিকে 'লাকি কয়েন' মনে করা হয়। কিন্তু আপনি যদি ভাবেন যে, চেয়ে বা জোর করে এই মুদ্রা নিতে পারবেন, তাহলে সেটা ভুল। হিজড়াদের দেওয়া মুদ্রা তখনই কার্যকর হয়, যখন তাঁরা সেটি নিজের ইচ্ছায় দেন।
বিশ্বাস করা হয় যে, এই মুদ্রা ধনের স্থানে রাখলে ধনের প্রাচুর্য বজায় থাকে এবং বাড়িতে কখনও অর্থের অভাব হয় না। কিন্তু এটি তখনই শুভ হয়, যখন কোনো স্বার্থ বা চাপ ছাড়া দেওয়া হয়।

বুধবারে সবুজ রঙের দান গ্রহদোষ থেকে মুক্তি দেয়

যদি আপনার রাশিতে বুধ গ্রহ দুর্বল থাকে এবং তার প্রভাব ক্যারিয়ার বা ব্যবসার ওপর পড়ে, তাহলে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, বুধবারে হিজড়াদের সবুজ রঙের বস্ত্র, ফল, সবুজ চুড়ি এবং অর্থ দান করা শুভ বলে মনে করা হয়।
এমনটা মনে করা হয় যে, এতে বুধ গ্রহ শক্তিশালী হয় এবং তার ইতিবাচক প্রভাব ব্যক্তির জীবনে পড়ে।

শুভ কাজে বাধা এলে এই উপায় করুন

যদি আপনার বাড়িতে বার বার কোনো শুভ অনুষ্ঠানে বাধা আসে, তাহলে একটি বিশেষ উপায় করা যেতে পারে। বুধবারে কোনো হিজড়ার ঢোলকের পুজো করুন এবং সাধ্যমতো তাঁদের প্রণামী দিন।
বিশ্বাস করা হয় যে, এই উপায়ে বাড়িতে আসা শুভ কাজে বাধা দূর হয় এবং কাজ সহজে সম্পন্ন হয়।

এই জিনিসগুলি দান করা থেকে বিরত থাকুন

অনেকে না ভেবেই যা কিছু দান করে দেন, কিন্তু কিছু জিনিস আছে যা হিজড়াদের দান করা উচিত নয়।

  • মৃত ব্যক্তির কাপড়
  • নিজের পরা পুরনো কাপড়
  • এঁটো বা বাঁশি খাবার
  • প্লাস্টিকের বাসন
  • ঝাড়ু বা তেল

লোকবিশ্বাস অনুসারে, এই জিনিসগুলি দিলে পুণ্যের বদলে দোষ লাগে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব ব্যক্তির ভাগ্যের ওপর পড়তে পারে।

দান দেওয়ার সময় অপমান বা ঠাট্টা করবেন না

যখনই কোনো হিজড়া আপনার বাড়িতে আসেন বা রাস্তায় দেখা হয়, তখন মনে রাখবেন যে তাঁরা শুধু প্রণামী নিতে আসেন না, আশীর্বাদ দিতেও আসেন।
যদি আপনি তাঁদের দান দেওয়ার সময় ঠাট্টা করেন, অপমান করেন বা তাঁদের হালকাভাবে নেন, তাহলে আপনি যতই মূল্যবান দান করুন না কেন, তার কোনো ফল পাওয়া যায় না।
হিজড়া সম্প্রদায়কে সম্মান করাটাই সবচেয়ে জরুরি, तभी তাঁদের আশীর্বাদ ফলদায়ক বলে মনে করা হয়।

মনের থেকে দেওয়া দানই ফলদায়ক বলে মনে করা হয়

দান দেওয়ার মানে শুধু কোনো বস্তু দেওয়া নয়, বরং এর সঙ্গে আপনার অনুভূতি জড়িত থাকে। হিজড়াদের দেওয়া দানও তখনই ফল দেয়, যখন তা মন থেকে, শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে দেওয়া হয়।
লোকেরা প্রায়শই দেখানোর জন্য বা অন্যের কথায় কিছু দিয়ে দেয়, কিন্তু সেটি কেবল আচার-অনুষ্ঠান হয়ে থেকে যায়।
যখন আপনি কোনো হিজড়াকে মন থেকে কিছু দেন এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন, तभी তা আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করে।

Leave a comment