আগ্রার এক ছাত্রী অবনী কাটারকে মিশন শক্তি অভিযানের অধীনে এক দিনের জন্য ডিসিপি (পূর্ব জোন) করা হয়েছিল। এই সময়ে সে জনগণের অভিযোগ শুনেছিল এবং সেগুলোর দ্রুত সমাধান করেছিল। অবনী পুলিশ কার্যপ্রণালী বুঝেছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। একই সাথে তাকে সাইবার অপরাধ এবং ডিজিটাল প্রতারণা সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অবনী যখন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তাদের সমস্যা শুনতে শুরু করল, তখন মানুষ অবাক হয়েছিল যে সে কিভাবে বিচার করবে। সে তাদের বলতে থাকল, “বলুন, কী সমস্যা?” এক ব্যক্তি জানাল যে বাসাই আরেলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল, কিন্তু পুলিশি তদন্তে অবহেলা হচ্ছে। অবনী সাথে সাথে এসিপি (ACP)-কে ফোন করে বলল যে অভিযোগের তদন্ত করা হোক এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হোক। ভুক্তভোগীকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।
অবনী এই দিনে দশটিরও বেশি অভিযোগ শুনেছিল এবং সেগুলোর সমাধানের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রে সে সংশ্লিষ্ট থানাকে ঘটনাস্থলে তদন্ত করার জন্য বলেছিল। মিশন শক্তি অভিযানের এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল নারী ক্ষমতায়ন এবং ছাত্রীদের মধ্যে নেতৃত্ব ক্ষমতা বিকাশ করা। এই সময়ে অবনী ডিসিপি কার্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যপ্রণালী, পুলিশকর্মীদের দায়িত্ব এবং জনগণের সমস্যা শুনে সেগুলোর সমাধান করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল।
এই সময়ে তাকে এও জানানো হয়েছিল যে আজকাল অপরাধের প্রবণতা কিভাবে পরিবর্তিত হয়েছে — যেমন সাইবার অপরাধ, ডিজিটাল প্রতারণা, ইত্যাদি। অবনীকে এগুলো শনাক্ত করার এবং সেগুলোর মোকাবিলা করার উপায় বোঝানো হয়েছিল, একই সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং অভিযোগ দায়ের করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছিল।