আহান পান্ডে ‘সাইয়ারা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে দারুণভাবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। এই সিনেমায় তিনি আনীত পাড্ডার বিপরীতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং নিজের প্রথম সিনেমা দিয়েই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
Saiyaara Box Office Collection Day 10: বলিউডে আরও এক নতুন তারার উদয় হল – আহান পান্ডে। যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে তৈরি তাঁর প্রথম সিনেমা ‘সাইয়ারা’ বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। মোহিত সুরীর পরিচালনায় তৈরি এই রোমান্টিক ড্রামাটি শুধু দর্শকদের মন জয় করেনি, বরং আয়ের ক্ষেত্রে বড় বড় তারকাদের সিনেমাকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে।
১০ দিনে ২৪৭.২৫ কোটির ধাক্কা, চেন্নাই এক্সপ্রেসকে হারাল
সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, ‘সাইয়ারা’ দশম দিনে অর্থাৎ দ্বিতীয় রবিবার প্রায় ৩০ কোটি টাকা কালেকশন করেছে। যদিও এই সংখ্যা এখনও পর্যন্ত অফিসিয়ালি প্রকাশ করা হয়নি, তবে বাণিজ্য বিশ্লেষকদের অনুমান অনুযায়ী সিনেমাটির মোট আয় ২৪৭.২৫ কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে। কোনো নতুন অভিনেতার প্রথম সিনেমার জন্য এটি একটি রেকর্ড।
‘সাইয়ারা’র অসাধারণ পারফরম্যান্স শাহরুখ খানের ২০১৩ সালের সুপারহিট সিনেমা ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’কেও ছাড়িয়ে গেছে। সেই সিনেমাটি তার জীবনকালে ২২৭ কোটি টাকা আয় করেছিল। দীপিকা পাডুকোন এবং শাহরুখ খানের এই ব্লকবাস্টার সিনেমাটি রোহিত শেট্টি পরিচালনা করেছিলেন। এখন এক দশক পর, এক নতুন জুটি – আহান পান্ডে এবং আনীত পাড্ডা – বক্স অফিসে ইতিহাস তৈরি করেছেন।
শুরু থেকেই ছিল জবরদস্ত ক্রেজ
সিনেমাটির শুরুটা ছিল খুবই शानदार। ‘সাইয়ারা’ প্রথম দিনেই ২১ কোটি টাকা কালেকশন করে সবাইকে চমকে দিয়েছিল। এরপর কালেকশন ক্রমাগত বেড়েছে:
- দ্বিতীয় দিন: ২৬ কোটি
- তৃতীয় দিন: ৩৫.৭৫ কোটি
- চতুর্থ দিন: ২৪ কোটি
- পঞ্চম দিন: ২৫ কোটি
- ষষ্ঠ দিন: ২১.৫ কোটি
- সপ্তম দিন: ১৯ কোটি
প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটির মোট কালেকশন ছিল ১৭২.৭৫ কোটি টাকা। এরপর অষ্টম দিনে ১৮ কোটি এবং নবম দিনে ২৬.৫ কোটি টাকা আয় করে সিনেমাটি বক্স অফিসে নিজের জায়গা ধরে রেখেছে।
YRF এবং মোহিত সুরীর জুটি সাফল্যের গ্যারান্টি
‘সাইয়ারা’ সিনেমাটি Yash Raj Films প্রযোজনা করেছে এবং পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন মোহিত সুরী, যিনি 'আশিকি ২', 'এক ভিলেন' এবং 'মালাং'-এর মতো সফল রোমান্টিক সিনেমার জন্য পরিচিত। তাঁর গল্প বলার ধরণ, সঙ্গীতবোধ এবং আবেগপূর্ণ সংযোগ ‘সাইয়ারা’কে শুধুমাত্র তরুণদের মধ্যেই নয়, ফ্যামিলি অডিয়েন্সের মধ্যেও সুপারহিট করে তুলেছে।
সিনেমাটির গল্প প্রেম, ত্যাগ এবং সমাজের বিরোধের মাঝে একটি সংগ্রামের কাহিনী। সাইয়ারার মিউজিক অ্যালবামও খুব পছন্দ করা হচ্ছে, যা সিনেমার আবেগপূর্ণ গভীরতাকে আরও শক্তিশালী করে। মানুষজন সিনেমা হল থেকে বেরোনোর সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন, এবং এটাই দর্শকদের সাথে সংযোগের সবচেয়ে বড় প্রমাণ।