আহমেদাবাদে অলৌকিক ঘটনা: নাবালক চালকের গাড়ির তলায় ৩ বছরের শিশু, প্রাণে বাঁচল

আহমেদাবাদে অলৌকিক ঘটনা: নাবালক চালকের গাড়ির তলায় ৩ বছরের শিশু, প্রাণে বাঁচল

আহমেদাবাদের নোবলনগরে এক ৩ বছরের শিশুর উপর নাবালক চালক গাড়ি চালিয়ে দেয়, কিন্তু শিশুটি অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। পুরো ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পুলিশ নাবালক চালককে আটক করে মামলা দায়ের করেছে।

আহমেদাবাদ: গুজরাটের আহমেদাবাদে এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা মানুষের হৃদয় কাঁপিয়ে দিয়েছে। নোবলনগর এলাকায় খেলা করছিল মাত্র তিন বছরের এক শিশু, তার উপর এক নাবালক চালক গাড়ি চালিয়ে দেয়, কিন্তু অলৌকিকভাবে শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়। এই পুরো ঘটনাটি পাশের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। পুলিশ নাবালক চালককে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে।

দ্রুতগতির গাড়ির তলা থেকে রক্ষা পেল শিশুটি

ঘটনাটি ২৯শে অক্টোবর দুপুরের, যখন নোবলনগরের শিব বাংলা এলাকায় একটি তিন বছর বয়সী শিশু রাস্তার পাশে খেলা করছিল। ঠিক তখনই একটি সাদা রঙের গাড়ি হঠাৎ দ্রুতগতিতে এসে সরাসরি শিশুটির উপর দিয়ে চলে যায়। আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন চিৎকার করে ওঠে, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, গাড়ির তলায় আটকে পড়া শিশুটি নিজেই হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসে এবং দৌড়াতে শুরু করে।

স্থানীয়রা তৎক্ষণাৎ তার দিকে ছুটে যায় এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা জানান যে শিশুটির সামান্য আঁচড় লেগেছে এবং সে সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত। মানুষ এই দৃশ্যটিকে “ঈশ্বরের অলৌকিক ঘটনা” বলে অভিহিত করেছে।

সিসিটিভি ফুটেজে উদঘাটিত অসাবধানতা

পাশের একটি বাড়িতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় পুরো দুর্ঘটনাটি রেকর্ড হয়। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায় যে শিশুটি রাস্তার পাশে বসে খেলা করছিল আর তখনই নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি সরাসরি তার উপর দিয়ে চলে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

অনেক ব্যবহারকারী এটিকে বাবা-মায়ের অসাবধানতা বলে উল্লেখ করেছেন, আবার কেউ কেউ নাবালক চালক এবং তার অভিভাবকদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভিডিওতে দুর্ঘটনার পর লোকজনকে গাড়ি থামাতে এবং চালককে ধরার চেষ্টা করতেও দেখা যায়।

লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাচ্ছিল

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে গাড়িটি নাবালকের পরিবারের ছিল এবং সে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই এটি চালাচ্ছিল। ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে নাবালকটিকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পাশাপাশি, পরিবার কেন তাকে গাড়ি চালানোর অনুমতি দিল, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে।

থানার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে “এই ধরনের ঘটনায় শুধু নাবালক নয়, তার অভিভাবকদেরও আইনি দায় নিতে হবে।”

কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে জনগণ

এই দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। মানুষের বক্তব্য যে, নাবালকদের হাতে গাড়ি তুলে দেওয়া শুধু আইন লঙ্ঘনই নয়, বরং শিশু এবং সমাজ উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে যে এই মামলার সকল দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a comment