অযোধ্যায় আয়োজিত দিপোৎসব কুমোর পরিবারগুলির জীবনে উজ্জ্বলতা এনেছে। যোগী সরকারের এই উদ্যোগ কেবল স্থানীয় অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করেনি, বরং মাটির ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলাকে নতুন পরিচিতি দিয়েছে। এখন যে যুবকরা জীবিকার জন্য भटकত, তারা নিজেদের জমিতেই স্বনির্ভর হয়ে উঠছে।
কুমোররা বড় আকারের প্রদীপের অর্ডার পাচ্ছে, যার ফলে তাদের আয় হাজার থেকে বেড়ে লাখে পৌঁছে গেছে। এই বছর ২৬ লাখ ১১ হাজার ১০১টি প্রদীপ জ্বালানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছে। শত শত পরিবার এই কাজের সাথে যুক্ত এবং তারা এখন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে।
যোগী সরকারের উদ্যোগ এবং তার প্রভাব
দিপোৎসবের আয়োজন মাটির প্রদীপকে নতুন পরিচিতি দিচ্ছে। এখন অযোধ্যার কুমোর পরিবারগুলিতে সুখ-শান্তি বিরাজ করছে। আগে যেখানে যুবকরা কাজের সন্ধানে বাইরে যেত, এখন তারা নিজেদের গ্রামেই কাজ করে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে দিপোৎসবকে ঐতিহাসিক করে তোলার প্রস্তুতি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে।
প্রদীপ প্রস্তুতি এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তন
জয়সিংহপুর গ্রামের ব্রজ কিশোর প্রজাপতি জানান যে, দিপোৎসব শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের পরিবার ক্রমাগত প্রদীপ তৈরি করছে। এই বছর তারা দুই লাখ প্রদীপ তৈরির অর্ডার পেয়েছে। তিনি বলেন যে, এই উদ্যোগ আমাদের পরিবারকে সরাসরি কর্মসংস্থান দিয়েছে।
আগে যেখানে কুমোররা ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে কাজ করত, এখন তারা আধুনিক বৈদ্যুতিক চাকার ব্যবহার করে। এর ফলস্বরূপ উৎপাদন দ্রুত হয়েছে এবং প্রদীপের গুণমান উন্নত হয়েছে।
আর্থিক পরিবর্তন — হাজার থেকে লাখ পর্যন্ত
২০১৭ সালের আগে এই পরিবারগুলি প্রায়শই জীবিকার জন্য সংগ্রাম করত। কিন্তু দিপোৎসব শুরু হওয়ার পর তাদের আর্থিক অবস্থা সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আগে মাসে ২০–২৫ হাজার টাকা আয় হত, এখন দিপোৎসবের সময়ই লাখ লাখ টাকা আয় হয়।
উদাহরণস্বরূপ, সোহাওয়ালের পিঙ্কি প্রজাপতি এই বছর দুই লাখ প্রদীপ তৈরির অর্ডার পেয়েছেন। তিনি বলেন যে, আগে প্রদীপের বিক্রি কম হত, কিন্তু এখন সরকারের উদ্যোগের কারণে তারা ভালো দাম পাচ্ছে।
দিপোৎসবের জাঁকজমক এবং বাজার
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে এই বছর দিপোৎসবে মাটির প্রদীপকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে কুমোররা বড় আকারের অর্ডার পাচ্ছে। জয়সিংহপুর, বিদ্যা কুণ্ড, সোহাওয়াল এবং আশেপাশের গ্রামগুলিতে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছে।
রামভবন প্রজাপতি, গুড্ডু প্রজাপতি, রাজু প্রজাপতি, জগন্নাথ প্রজাপতি, সুনীল প্রজাপতি এবং সন্তোষ প্রজাপতি সহ শত শত পরিবার এই মুহূর্তে মাটি মাখা, প্রদীপ তৈরি, শুকানো এবং বিক্রি করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
গত বছরগুলিতে জ্বালানো প্রদীপের সংখ্যা নিচের বছরভিত্তিক তথ্যগুলি দিপোৎসবের জনপ্রিয়তা কীভাবে বেড়েছে তা তুলে ধরেছে:
বছর জ্বালানো প্রদীপের সংখ্যা
২০১৭
১.৭১ লাখ
২০১৮
৩.০১ লাখ
২০১৯
৪.০৪ লাখ
২০২০
৬.০৬ লাখ
২০২১
৯.৪১ লাখ
২০২২
১৫.৭৬ লাখ
২০২৩
২২.২৩ লাখ
২০২৪
২৫.১২ লাখ