বলরামপুরে অবৈধ ধর্মান্তরকরণ মামলা: ইডি-র অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার

বলরামপুরে অবৈধ ধর্মান্তরকরণ মামলা: ইডি-র অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার

বলরামপুরে অবৈধ ধর্মান্তরকরণ মামলার তদন্তে ইডি (ED) ছাঙ্গুর এবং তার সহযোগীদের ठिकाনায় হানা দিয়ে বিদেশি তহবিল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সম্পত্তি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে।

UP: উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে অবৈধ ধর্মান্তরকরণ এবং বিদেশি তহবিল সংক্রান্ত মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বড় সাফল্য পেয়েছে। এই চক্রের মূল পান্ডা ছাঙ্গুর ওরফে জালালউদ্দিন এবং তার সহযোগীদের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক অভিযানে ইডি এমন অনেক নথি হাতে পেয়েছে, যা থেকে তাদের অবৈধ নেটওয়ার্ক এবং অর্থ পাচারের ठोस প্রমাণ পাওয়া গেছে।

হাবিব ব্যাংক এজি জুরিখের অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে

ইডি ছাঙ্গুরের উতরাওলা নগরের শোরুম থেকে যে সমস্ত নথি পেয়েছে, তাতে হাবিব ব্যাংক এজি জুরিখের অ্যাকাউন্টের তথ্যও রয়েছে। যদিও এই অ্যাকাউন্টটি কার নামে রয়েছে এবং কোন দেশের শাখার সঙ্গে যুক্ত, তা স্পষ্টভাবে নোটিশে উল্লেখ করা হয়নি। এই ব্যাংক সুইজারল্যান্ড সহ ১১টি দেশে তাদের শাখা পরিচালনা করে। নথি থেকে এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে যে, এই চক্রের মাধ্যমে যে অর্থ উপার্জন করা হয়েছে, তা অপরাধমূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে অর্জিত।

সম্পত্তিতে বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার

ছাঙ্গুর এবং তার সহযোগীরা অবৈধভাবে অর্জিত টাকা সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করেছিল। ইডি এমন অনেক রেকর্ড পেয়েছে, যেখানে কোটি কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি কেনা এবং তাদের নির্মাণ সংক্রান্ত কার্যকলাপের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই লেনদেনে ইউনাইটেড মেরিন অ্যাকাউন্ট থেকে মেসার্স কৃষ্ণা ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই-এর অ্যাকাউন্টে তহবিল স্থানান্তর এবং রাস আল খাইমাহ সরকারের আরএকে ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির সাথে মিস আশ্বী মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের কাঠামোর মতো বিষয়গুলি সামনে এসেছে।

১৭ জুলাই ১৫টি স্থানে তল্লাশি

বিগত ১৭ জুলাই ইডি বলরামপুর সহ বিভিন্ন স্থানে ছাঙ্গুর এবং তার ঘনিষ্ঠদের ১৫টি ঠিকানায় অভিযান চালায়। এতে ছাঙ্গুরের শোরুম বাবা তাজউদ্দিন আশ্বী বুটিক থেকে প্রায় ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করা হয়েছে। এই নথিগুলোতে অনেকের নাম পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে শুধু ছাঙ্গুর এবং তার সহযোগী নিতু চেনে।

চুক্তি এবং পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির নথি

ইডি নাসির ওয়াদিলাল এবং ছাঙ্গুরের মধ্যে অপরিবর্তনীয় পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি, যানবাহন বিক্রয় চুক্তি এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে সম্পত্তি লেনদেনের নথিও পেয়েছে। এই নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সফিউল্লাহ, সামিউল্লাহ, প্রদীপ বি তিওয়ারি এবং রাজনারায়ণ আর সিং। এই সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে এই চক্রের ষড়যন্ত্রের সমস্ত দিক উন্মোচিত করা যায়।

মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিকল্পনাও প্রকাশ্যে

তল্লাশির সময় ইডি জানতে পেরেছে যে মধপুরে অবস্থিত নিতু রোহরার কোঠিতে মিস আশ্বী মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা ছিল। লখনউয়ের ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটির পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে, যা শোরুম থেকে জব্দ করা নথিগুলোতে পাওয়া গেছে।

অন্যের নামে সম্পত্তি কেনার কৌশল

তদন্তে আরও জানা গেছে যে ছাঙ্গুর নিজের নামে কোনো স্থাবর সম্পত্তি কেনেনি। সে তার সহযোগী नवीन রোহরা और নিতু রোহরার নামেই সমস্ত সম্পত্তি কিনেছে। এতে স্পষ্ট যে, সে অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে বাঁচতে তার প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করছিল।

ইডি-র টিম এখন এই সমস্ত নথি খুব মনোযোগ সহকারে খতিয়ে দেখছে। চক্রের পুরো নেটওয়ার্ক উন্মোচন করতে এজেন্সিগুলো ক্রমাগত সক্রিয় রয়েছে। নথি সংক্রান্ত লেনদেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং বিনিয়োগের পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে চক্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দিকনির্দেশ ঠিক করা হচ্ছে।

Leave a comment