Bardhaman Damodar Bridge: ১৭ বছর আগে প্রয়াত কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের জমানায় বার্নপুরের দামোদর নদীর ওপর একটি কংক্রিট সেতু নির্মাণের জন্য ৫০ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। অস্থায়ী শিলান্যাসও হয়েছিল। কিন্তু আজও সেতুর কাজ শুরু হয়নি। বর্ষার সময়ে ভেসে যাচ্ছে অস্থায়ী বাঁশের সেতু। ফলে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মানুষ বিপজ্জনক ভ্রমণ করতে বাধ্য। স্থানীয়রা দাবি করছেন, সেতু নির্মাণের জন্য সরকারি উদ্যোগ জরুরি।

১৭ বছরের প্রতিশ্রুতির অভাবে জনদুর্ভোগ
সেতু তৈরি হলে বার্নপুর থেকে দামোদরের পার হয়ে সরাসরি বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার সঙ্গে সংযোগ সহজ হতো। বর্তমানে চলাচলের একমাত্র ব্যবস্থা অস্থায়ী বাঁশের সেতু, যা প্রতি বর্ষায় ভেসে যায়। ভয়ংকর বৃষ্টিতে নদীতে নৌকা চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।
অনুমোদন এবং তহবিলের অনিশ্চয়তা
প্রাক্তন ইউপিএ সরকার এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সেতু নির্মাণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেননি। স্থানীয় কাউন্সিলার অশোক রুদ্র এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিলান্যাস করেছিলেন, কিন্তু কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কাজ শুরু করেনি।
স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় প্রতিক্রিয়া
বার্নপুরের ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের উপদেষ্টা রাজেন্দ্র প্রসাদ খৈতান ও আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক শম্ভুনাথ ঝা দাবি করেছেন, সেতু হলে ব্যবসা ও যাতায়াত সহজ হতো। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করা হলেও ফেরিঘাটও তৈরি হয়নি।

স্থানীয় সংগঠন ও আইএনটিইউসি অভিমত
ইস্কোর আইএনটিইউসি সভাপতি হরজিৎ সিং বলেন, “১৭ বছর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বাবুল সুপ্রিয়ও উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। সেতু তৈরি হলে দু’টি জেলা এবং বার্নপুরের বাজারও উপকৃত হতো।

বার্নপুরের দামোদর নদীর উপরে সেতু নির্মাণের জন্য ১৭ বছর আগে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। অস্থায়ী শিলান্যাসও হয়েছিল। তবে আজও সেতু নির্মাণ হয়নি। বর্ষার সময়ে ভেসে যাচ্ছে অস্থায়ী বাঁশের সেতু। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।













